বাংলাদেশে বাবা-মায়ের কাছে এসে আটকে পড়া ১৯ বছর বয়সের সেই তরুণীকে কানাডা সরকারের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রবিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করেছেন আদালত।
আজ আদালতে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের করা রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। এ সময় তরুণীর বাবা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া কানাডিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল (রবিবার) খাস কামরায় নিয়ে তরুণীর কথা শোনেন বেঞ্চের দুই বিচারপতি। ওইদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, ব্যারিস্টার সারা হোসেন। অপরদিকে কানাডিয়ান তরুণীর বাবা মায়ের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহসভাপতি মো. ওয়াজি উল্যাহ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও আবুল কালাম আজাদ। এছাড়া কানাডিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল বাবা-মাসহ ওই তরুণীকে আদালতে হাজির করতে বলা হয়। পাশাপাশি ওই তরুণীর অসম্মতিতে তাকে ১০ মাস ধরে আটক রাখা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
১৯ বছরের ওই তরুণীর জন্ম কানাডায়। তিনি জন্মসূত্রে কানাডার নাগরিক। কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন। তার বাবা-মাও কানাডায় থাকতেন। ১০ মাস আগে তার বাবা-মা বেড়ানোর কথা বলে তাকে নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। এরপর ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যেতে চাইলেও তাকে যেতে দেওয়া হয়নি।
এ ঘটনায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মুগদা থানায় কানাডিয়ান হাইকমিশন থেকে এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে কানাডিয়ান হাইকমিশনের পক্ষে মানবাধিকার সংগঠন ব্লাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র নামের দুটি মানবাধিকার সংগঠন হাইকোর্টে রিট করে। এতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, মুগদা থানার ওসি, ওই তরুণীর বাবা-মাকে বিবাদী করা হয়।