ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১, ১২:৪৮ এএম
টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত ও ‘বিদ্রোহী’ মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার সোমেশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম খলিল (৩৮)। তিনি উপজেলার ডুবাইল আটাপাড়া গ্রামের নসিম উদ্দিনের ছেলে। খলিল ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী খন্দকার গিয়াস উদ্দিনের সমর্থক ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র রকিবুল হক ছানার নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে জেলা আওয়ামী লীগের একটি দল সন্ধ্যার দিকে গোপালপুরে পৌঁছায়। দলের সদস্যরা থানার মোড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার গিয়াস উদ্দিন ও তার সমর্থকেরা ওই এলাকায় আসেন। একপর্যায়ে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় একটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটে। নৌকার সমর্থকেরা গিয়াস উদ্দিনের বাসায় ও তার ভাইয়ের দোকানও ভাঙচুর করেন।
গিয়াস উদ্দিনের গ্রাম ডুবাইল এলাকায় এ হামলার খবর পৌঁছার পর সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। তার সমর্থকেরা মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের দিকে রওনা হন। পথে সোমেশপুর এলাকায় তাদের ওপর নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা হামলা করেন। এ সময় গিয়াস সমর্থক খলিল মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন।
গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আলীম আল রাজি বলেন, রাত পৌনে আটটার দিকে খলিলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পরই তার মৃত্যু হয়। আহত লোকজনের মধ্যে হাসপাতালে আরেকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
বিদ্রোহী প্রার্থী খন্দকার গিয়াসউদ্দিনের ভাষ্য, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে নিজেদের অফিস ভেঙে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। পরে তার বাসাতেও ভাঙচুর করে। তিনি দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী রকিবুল হক ছানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
গোপালপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পু্লিশ সুপার মোহাম্মদ আমীর খসরু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রকিবুল হক ছানা। দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার গিয়াস উদ্দিন। এ ছাড়া বিএনপির প্রার্থী খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।