ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশের সাথে মুসল্লিদের সংঘর্ষে চার জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হাটহাজারী থানা পুলিশ নিহতের বিষয়টি এড়িয়ে শুধু আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ বলছে, বিক্ষোভের একপর্যায়ে হাটহাজারী থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালান আন্দোলনকারীরা। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। সেসময় কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ৩টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক শিলব্রত বড়ুয়া।
নিহতদের মধ্যে তিন জন মাদ্রাসাছাত্র বলে জানা গেছে। তারা হলেন- মেরাজুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া মৃত অপরজন হলেন স্থানীয় বাসিন্দা। তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জুমার নামাজের পর হেফাজত অনুসারী মুসল্লিরা মিছিল নিয়ে হাটহাজারী থানার দিকে এগুতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
সেসময় হেফাজত অনুসারীদের পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ প্রথমে টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করে পুলিশ।
এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এতে সাত মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘হেফাজত অনুসারীরা মিছিলের এক পর্যায়ে তারা হাটহাজারী থানায় প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সংঘর্ষ চলাকালে রাস্তায় পুলিশ অবস্থান নিলে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে আগত অনুসারীরা নিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে।’
হেফাজতের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস বলেন, ‘পুলিশের বুলেটে কমপক্ষে সাত জন ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিনা উস্কানিতে পুলিশ ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালায়।’