‘নৈতিক স্খলন’ স্বীকার করল হেফাজত নেতারা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১৬, ২০২১, ১১:৪২ এএম

‘নৈতিক স্খলন’ স্বীকার করল হেফাজত নেতারা

হেফাজতে ইসলামের বর্তমান যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ‘নৈতিক স্খলনের’ বিষয়টি স্বীকার করে হতাশা ব্যক্ত করেছেন সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা। তাকে বহিষ্কারের প্রস্তাবও করেছিল সংগঠনটির একটি অংশ। তবে সংগঠনের বর্তমান আমির জুনায়েদ বাবুনগরী সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন।

গ্রেফতার হওয়া হেফাজত নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া হেফাজতের সাম্প্রতিক তাণ্ডবে জামায়াত-শিবিরসহ জঙ্গিদের সম্পৃক্ততাও পাওয়া গেছে বলে জানায় পুলিশ।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে রবিবার (১১ এপ্রিল) গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে হেফাজতের সহকারী মহাসচিব মুফতি শাখাওয়াত হোসাইন রাজী, সাবেক প্রচার সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মাওলানা মঞ্জরুল ইসলাম আফেন্দি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সহপ্রচার সম্পাদক মুফতি শরিফ উল্লাহকে।

মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ডের পর গত রবিবার হাটহাজারী মাদ্রাসায় জরুরি বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। বৈঠকে মামুনুল হকের নৈতিক স্খলনের বিষয়টি স্বীকার করে হতাশা ব্যক্ত করেন সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা। সংগঠন থেকে তাকে বহিষ্কারের প্রস্তাব দেন আজিজুল হক ইসলামাবাদী। প্রস্তাবটি নাকচ করে দেন সংগঠনটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। এই মুহূর্তে বহিষ্কার করা হলে তিনি গ্রেফতার হতে পারেন। ফলে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়। মামুনুলের গ্রেফতার এড়াতে মাদ্রাসা খোলা রাখারও সিদ্ধান্ত হয়।

রিসোর্টকাণ্ড তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়। কমিটিতে রাখা হয় হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা হাফেজ তাজুল ইসলাম, সহকারী মহাসচিব শাখাওয়াত হোসাইন রাজী এবং হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক ড. মাওলানা নুরুল আফসার আজহারীকে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কমিশনার মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে বলেন, মামুনুলের বিষয়ে হেফাজত হতাশ। তবে হেফাজতের সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত। 

শুধু হেফাজত নয়, সাম্প্রতিক সহিংসতায় জামায়াতসহ জঙ্গিদেরও সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি পুলিশের। বর্তমান প্রজন্মের স্বপ্নকে ধ্বংস করার জন্য হেফাজতের কর্মকাণ্ডকে যথেষ্ট বলে মনে করে পুলিশ।

 

Link copied!