১০ জনের নাম চূড়ান্ত করেছে সার্চ কমিটি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২, ০৭:২০ পিএম

১০ জনের নাম চূড়ান্ত করেছে সার্চ কমিটি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আরও চার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতিকে সুপারিশ করতে ১০টি নাম চূড়ান্ত করেছে সার্চ কমিটি। তবে তারা কারা, সেটি জানানো হয়নি। বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন সার্চ কমিটি। 

যোগ্য, দক্ষ ও গ্রহণযোগ্য এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির আদেশে গঠিত হয় সার্চ কমিটি। আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গত ১৭ দিন ধরে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে সার্চ কমিটি। মঙ্গলবার বিকেলে বৈঠকে রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিতে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করেছে কমিটি। বরাবরের মতই বৈঠকগুলো হয় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে। 

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সার্চ কমিটিতে ৩২২ জনের নামের প্রস্তাব করা হয় বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে। গত শনিবার এসব নাম থেকে ২০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করে সার্চ কমিটি। দুই দিন পরের বৈঠকে তালিকা ১০ জনে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও তা হয়নি, সেদিন হয় ১৩ জনের তালিকা। সার্চ কমিটির চূড়ান্ত বৈঠক বসে মঙ্গলবার বিকেলে। এতে কমিটির প্রধান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।

সার্চ কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আপনারা জানেন যে আমাদের সার্চ কমিটি আজকে তাদের বৈঠক শেষ করে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করেছে। এ নামগুলো তারা আগামি ২৪ তারিখ বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট জমা দিবেন। ইতিমধ্যেই তাহাদের সকল বৈঠক ও সিলেকশন শেষ হয়ে গেছে। উনারা এবার চূড়ান্ত ফলাফল জমা দিবেন। এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। কি পদ্ধতিতে এই ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ওনারা ঠিক করেছেন। আমি কমিটির মেম্বার না তাই ওই সময় আমি ছিলাম না। 

১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তারপর থেকে কমিশন এখন পর্যন্ত শূন্য রয়েছে। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে আপিল বিভাগ অসাংবিধানিক ঘোষণার পর ২০১১ সালের ৩০ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে নির্বাচিত সরকারের অধীনে ভোটের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনে আওয়ামী লীগ। এর প্রতিবাদে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহতের ডাক দিয়ে আন্দোলনে নামে বিএনপি।

যদিও দলীয় সরকারের অধীনেই ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি-জামায়াত জোট। সে নির্বাচনে জয়লাভ করে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। যদিও নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইকোনোমিস্ট ইনটেলিজেন্ট ইউনিট বাংলাদেশকে “হাইব্রিড রিজিম” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। “হাইব্রিড রিজিম” বলতে মূলত উন্নয়নশীল দেশের ক্যাটাগরিতে থাকা সেইসব দেশকে বোঝায় যেখানে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সরকার তার রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে প্রভাবিত করে থাকে।  

Link copied!