আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে নতুন প্রকল্প অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যা পাঠানো হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনে। যেখানে আরও ২ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর নির্বাচন কমিশন ভবনে কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা জানেন আজ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে কমিশন সভা ছিল। সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। আপনারা এ-ও জানেন, বর্তমানে ৭০টি আসনে ইভিএম ভোটগ্রহণের সক্ষমতা আছে কমিশনের। ফলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট হলে আমাদের আরও ইভিএম মেশিন তথা সরঞ্জামাদি লাগবে।
ইসি আলমগীর বলেন, এখন আমরা পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের জন্য পাঠাবো। এর আগে আরেকটি কাজ হচ্ছে, জনবলের জন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি সভা করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব কমিশন অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা হবে। এ ছাড়া ইভিএম সংরক্ষণে জনবল তৈরি ও প্রশিক্ষণের জন্য এখানে ব্যয় রাখা হয়েছে।
রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তাদের হাতে এখন দেড় লাখ ইভিএম আছে। এক দিনে ১৫০ আসনে ভোট করতে হলে আরও প্রায় ২ লাখ ইভিএম প্রয়োজন হবে।
ইভিএম নিয়ে শুরু থেকেই রয়েছে বিতর্ক। এক পক্ষ এ পদ্ধতির ভোটকে সাধুবাদ জানালেও বিএনপিসহ দেশের অন্যান্য অনেক রাজনৈতিক দল শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশন মনে করে, ইভিএমেও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। এক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইভিএম পদ্ধতির ভোটকে মডেল হিসেবেও সামনে তুলে ধরছে ইসি। এরই মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সারাদেশে অন্তত ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে কমিশন।