৬ মাসে শতাধিক সাংবাদিক নির্যাতন-হয়রানির শিকার: আসক

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ৪, ২০২৩, ০১:৩২ পিএম

৬ মাসে শতাধিক সাংবাদিক নির্যাতন-হয়রানির শিকার: আসক

সংগৃহীত ছবি

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ছয় মাসে ১১৯ জন সাংবাদিক নির্যাতন-হয়রানির শিকার  হয়েছেন। নির্যাতন-হয়রানির শিকার সাংবাদিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকা জেলায়। এ জেলায় ২৯ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

গতকাল সোমবার মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রকাশ হওয়া গত ছয়মাসের মানবাধিকার রিপোর্টে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।  

১০টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও আসকের ‘নিজস্ব সূত্র’ থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ওই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়, ঢাকা জেলার পরই চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা জেলায় বেশি সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এই দুই জেলায় ৮ জন করে মোট ১৬ জন নির্যাতনের শিকার হন।

গত ছয় মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগজনক ছিল উল্লেখ করে ওই রিপোর্টে বলা হয়, “বেআইনী আটকের অভিযোগ ও রহস্যজনক নিখোঁজ, সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন ও নিপীড়ন, সীমান্তে হত্যা, নারীর প্রতি সহিংসতাসহ বহুল আলোচিত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অপপ্রয়োগের মতো ঘটনাও ঘটেছে।”

আসকের রিপোর্টে বলা হয়, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ও ৭১ টিভির জামালপুর জেলা প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী নাদিম গত ১৪ জুন রাতে তাঁর পেশাগত দায়িত্ব শেষে বাড়ি ফেরার পথে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায় এবং ব্যাপক মারধর করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৫ জুন তাঁর মৃত্যু হয়। সাংবাদিকের ওপর এ ধরনের হামলা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।

রিপোর্টে আরও বলা হয়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন।

রিপোর্টে  প্রথম আলোর সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামানের বিষয়টিও উঠে এসেছে। এতে বলা হয়,  সিআইডি পরিচয়ে ভোর রাতে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং দিনভর তাঁকে আটকের ঘটনা সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে অস্বীকার করার মধ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায়োগিক আচরণ যে অসঙ্গত ও বেআইনি তা প্রতীয়মান হয়েছে।

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি তুলে ধরে আসকের রিপোর্টে বলা হয়, ধরনের মামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে নিরোধ করে তুলতে প্ররোচিত করবে বলে মনে করে আসক। এ ধরনের পদক্ষেপ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকুচিত করাসহ সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ভীতি ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরীতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।

Link copied!