সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হবে বললে সেখানে পরিষ্কার বুঝা যায় নির্বাচনের সময় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার হবে না উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এই সরকারের অধীনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, ২০ দলীয় জোট এবং দেশের গণতান্ত্রিক জনগণ আগামী নির্বাচনে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না, যেতে পারে না।’ একই সাথে ওই ধরণের নির্বাচন করতেও দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় পার্টি (জাফর) আয়োজিত দলের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও জাতীয় যুব সংহতি আহ্বায়ক মহসিন সরকারের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইস্পাতের ন্যায় কঠিন গণ-ঐক্য তৈরির আহবান জানিয়ে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সেটা করতে হলে এই সরকারের পতন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, জনগণের ভোটের অধিকার এগুলো সব একই দাবি, এই এক দফা দাবিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে, আরো বড়ো ধরনের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম তৈরি করে এই সরকারকে হটিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।’
বর্তমান সরকারকে ‘স্বৈরাচারী’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, ‘জনগণ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত, আপনারা কথা বলে দেখেন মানুষ এই সরকারের বিদায় চায়। এই সরকারের পরিবর্তন চায়। জনগণ আমাদেরকে বলছে আপনারা কি করছেন, আপনারা এই সরকারের বিদায়ের জন্য মাঠে নামেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, যদি এই দেশকে বাঁচাতে হয়, যদি এই দেশের স্বার্থকে রক্ষা করতে হয়। এদেশের জনগণের অধিকার ফিরে যেতে হয় ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হয়। এই লুটেরা অর্থ নীতি থেকে দেশকে মুক্ত করতে হয়, তাহলে এই সরকারকে হটানো ছাড়া আমাদের সামনে বিকল্প কোনো পথ নেই। যদি সরকার হোটে যায় তাহলে আগামী নির্বাচন একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করা সম্ভব।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের গুরুত্বারোপ করে খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, আজকে যে জাতীয় সংকটে আমরা উপনীত হয়েছি তার থেকে মুক্ত হতে হলে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণ যাদেরকে ভোট দেবে সেই প্রতিনিধিরা দেশ পরিচালনা করবে।
তিনি বলেন, ‘‘জনগণের প্রতিনিধিরা যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার, মানবাধিকার, শাম্য, সামাজিক যে সামাজিক যে বৈষম্য এগুলো দূরীকরণ করা সম্ভব হবে সেই জনগণের সরকারের মাধ্যমে।’’
জাতীয় পার্টির(জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হাওলাদারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিঙ্কন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।