গাজীপুরের কোনাবাড়িতে সন্তান বিক্রি করার পর অনুশোচনায় ৯৯৯ নম্বরে এক মায়ের ফোন কলের পর বিক্রিত সন্তানকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৯ মর্চ) দুপুরে কোনাবাড়ি থেকে ওই নারী ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
জানা গেছে, তিন দিন আগে আমার এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। তারে মানুষ করতে পারমুনা ভাইব্বা পঞ্চাশ হাজার টাকায় বিক্রি কইরা দিছি। মেয়ে বিক্রির টাকা এহনো ছুইয়া দেখি নাই। ওই টাকা ফিরাইয়া দিয়া আমার মেয়েরে আমি ফিরত চাই। দয়া কইরা উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন। এমন তথ্য জানিয়ে শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে গাজীপুরের কোনাবাড়ি থেকে একজন নারী কলার ‘জাতীয় জরুরি সেবা’ ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
ওই নারী বলেন, আগের ঘরের ছয় বছর বয়সী আরেকটা মেয়ে আছে। আমার স্বামী নাই। প্রথম ঘরের মেয়েরে মাইন্না নেয় না দেইখা, দ্বিতীয় স্বামীর লগে তিন মাস আগে ছাড়াছাড়ি হইয়া গেছে। আমার মা-বাবা ও কোনো আত্মীয় নাই। আমি এতিম। আমি একটা ভুল কইরা ফালাইছি। আমার সন্তানরে ফেরত চাই।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল আনোয়ার কোনাবাড়ি থানায় বিষয়টি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানায়। পরবর্তীতে ৯৯৯ ডেসপাচার এসআই ইমদাদুল হক কলার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশি তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে কোনাবাড়ি থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে কলার মা, যার মাধ্যমে সন্তান বিক্রি করেছিলেন তার প্রতিবেশী একজন সবজি বিক্রেতার কাছ থেকে ক্রেতার ঠিকানা সংগ্রহ করে গাজীপুরের নামাপাড়া থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে কলার মায়ের কাছে বুঝিয়ে দেয়।
কোনাবাড়ি থানা পুলিশ দলের নেতৃত্ব দেয়া এসআই কামরুজ্জামান ৯৯৯ কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। উদ্ধারকৃত সন্তানকে তার মাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।