সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩, ০১:৩১ পিএম
রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধরের ঘটনার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে কমিটি। প্রতিবেদনে আরেক এডিসি সানজিদা আফরিনসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।
এ ছাড়া এডিসি সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক এবং ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদেরও দায় থাকার কথা জানিয়েছে কমিটি।
এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ৪০-৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে প্রথমে সাময়িক বরখাস্ত ও পরে রংপুর বদলী হওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশীদ, এডিসি সানজিদা আফরিন, পরিদর্শক মো. গোলাম মোস্তফা রয়েছেন।
সেই সাথে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা এবং ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল ও থানার প্রত্যক্ষদর্শীদেরও সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটি সূত্র বলছে, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শাহবাগ থানায় নির্যাতনের সময় যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদের ভূমিকাও নিরূপণ করা হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষ থেকে ১০-১৫ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ ছিল। তারা কারা, পুলিশের তদন্তে তা বের করা হয়েছে। কমিটি জানতে পেরেছে, উপস্থিত সব পুলিশ সদস্য ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর করেছেন, বিষয়টি এমনও নয়। কেউ কেউ মেরেছেন। কেউ করেছেন গালগাল। নীরব ভূমিকায়ও ছিলেন কেউ কেউ। যাদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে, তাদের কাছ থেকে ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে পেরেছে কমিটি।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে বারডেম হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানা হেফাজতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাদের নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে পুলিশের রমনা বিভাগের তখনকার অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।