যশোরের অভয়নগরে পুলিশ হেফাজতে আফরোজা বেগম (৪০) নামের এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে আফরোজা বেগমের মৃত্যু হয়।
নিহত আফরোজা বেগম অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের জলিল মোল্লার স্ত্রী।
আফরোজা বেগমের ছেলে মুন্না মোল্লা জানায়, “শনিবার (১ জুন) অভয়নগর থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সিলন আলী ও এএসআই শামসুল হক রাত ১২টার দিকে তাদের বাড়িতে যান। পরে ইয়াবা ট্যাবলেট দেখিয়ে তার মাকে আটক করেন। এ সময় সিভিল পোশাকে থাকা দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ আরও এক নারী পুলিশ তার মাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে মারধর করার পর রাত ১টার দিকে থানায় নিয়ে যায়। রোববার সকালে থানায় গিয়ে দেখে তার মা খুব অসুস্থ। পরে পুলিশ তার মাকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা কয়েকটি টেস্ট দিলেও পুলিশ সদস্যরা সেগুলো না করেই তার মাকে থানায় নিয়ে যায়। আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মা আফরোজা বেগমের মৃত্যু হয়।”
আফরোজা বেগমের স্বামী জলিল মোল্লা বলেন, “আমি আগে নেশা করতাম। এখন ভালো হয়ে গেছি। এখন অটোভ্যান চালাই। আমি আর আমার বড় ছেলে অটোভ্যান চালিয়ে একটা বাড়ি করেছি। এই বাড়ি করার সময় স্থানীয় তরিক শেখসহ আরও কয়েকজন আমাদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় তারা আমাদের নানাভাবে হুমকি দেয়। গতকাল তরিক শেখও পুলিশের সঙ্গে আমাদের বাড়িতে আসেন।”
অভিযোগ অস্বীকার করে অভয়নগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, “শনিবার রাত দেড়টার দিকে মাদকসহ ওই নারীকে আটক করা হয়। তাকে কোনও ধরনের নির্যাতন করা হয়নি। সকালে তিনি অসুস্থ বোধ করলে স্বজনদের উপস্থিতিতেই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। তার উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ থাকায় পরে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় পথে তিনি মারা যান।”