২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর উদ্বোধন করা চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার রায় ঘোষণা করে ৮ আসামির প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মীর আখতারের সে সময়ের প্রকল্প ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনজুরুল ইসলাম, প্রকল্প প্রকৌশলী আব্দুল জলিল, আমিনুর রহমান, আব্দুল হাই, মো. মোশাররফ হোসেন রিয়াজ, মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী শাহজান আলী ও রফিকুল ইসলাম।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বিচারিক প্রক্রিয়ায় মামলাটিতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ২২ ও আসামিপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছে ৭ জন। মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বুধবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে আদালত। রায়ে মামলার একটি ধারায় প্রত্যেককে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং অন্য একটি ধারায় প্রত্যেককে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ হতাহতের ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ এনে ওই বছরের ২৬ নভেম্বর চান্দগাঁও থানার তৎকালীন এসআই আবুল কালাম আজাদ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় ফ্লাইওভার প্রকল্পের পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে পুলিশ আট জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে ২৪ অক্টোবর ২০২৩। এতে সিডিএর তিন কর্মকর্তা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৮ জনের নাম বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
২০১৪ সালের ১৮ জুন তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমান অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আট আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
২০১০ সালে এম এ মান্নান (বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার) ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।