৫ বছরে সশস্ত্র ক্ষমতায় ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ: নতুন কী কী যুক্ত হয়েছে ?

শামস তারেক আজিজ

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩, ০৬:৫২ এএম

৫ বছরে সশস্ত্র ক্ষমতায় ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ: নতুন কী কী যুক্ত  হয়েছে ?

একটি সারফেস টু এয়ার মিসাইলের প্রতীকী ছবি

একটি সুসজ্জিত সশস্ত্র বাহিনী একটি দেশের ঢাল স্বরূপ। দেশ ও জাতির সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে শক্তিধর দেশগুলোর মতোই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গোপনীয়তা রক্ষার তাগিদে অনেক তথ্য প্রকাশ না পেলেও যতটুকু তথ্য পাওয়া যায় সে অনুযায়ী বাংলাদেশ সেরা ৪০ দেশের মধ্যেই আছে।

গত অর্ধ-দশকে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীতে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনসহ ২৩ ধরণের যুদ্ধ সরঞ্জাম যুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় সংসদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। আধুনিক সকল যুদ্ধাস্ত্রসমূহ চীন, তুরস্ক, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন সহ মোট ১২টি দেশ থেকে ক্রয় করেছে বাংলাদেশ।

ক্রয়কৃত সরঞ্জামের মধ্যে সেনাবাহিনীর জন্য ১১ ধরণের, নৌবাহিনীর জন্য ৮ ধরণের এবং বিমান বাহিনীর জন্য ৪ ধরণের যুদ্ধ সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়েছে।  এসকল সরঞ্জাম ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ কে সামনে রেখে ক্রয় করা হয়েছে। এধরনের নতুন অস্ত্র বাংলাদেশের প্রতিরক্ষায় মাইলফলক হিসেবে দেখা যেতে পারে।

নতুন কী কী আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীতে?

গত ৫ বছরে বাংলাদেশ আর্মিতে চীন থেকে সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম যুক্ত করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর অস্ত্র সম্পর্কে যারা ধারণা রাখেন তারা জানেন এটি শত্রু প্রতিহতকরণে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

জার্মানী থেকে আর্মড রিকভারি ভিহিক্যাল ফর ট্যাঙ্ক এবং তুরস্ক থেকে আনম্যানড এরিয়াল ভিহিক্যাল (ইউএভি) বা মানুষ্যবিহীন ড্রোন যুক্ত হয়েছে সেনাবাহিনীতে।

ড্রোন ছাড়াও আর্মড পার্সোনাল ক্যারিয়ার, মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম ও রেজিমেন্ট ফিল্ড আর্টিলারী ওয়েপন সিস্টেম যুক্ত হয়েছে তুরস্ক থেকে ।

শুধু কি স্থলভাগের প্রতিরক্ষা সামগ্রী? নৌ বহরেও যুক্ত হয়েছে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র! চীন থেকে আনা ফ্রিগেট, বিভিন্ন ধরণের মিসাইল থেকে যুক্ত হয়েছে নৌবাহিনীতে। এছাড়াও নৌঘাটি শেখ হাসিনা সাবমেরিন বেইজ নির্মাণে সহায়তা, ডকইয়ার্ডের জন্য উপকরণসহ প্রশিক্ষণ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিমানবাহিনীতে যুক্তরাজ্য থেকে যুক্ত হয়েছে ‘এমকে ৫’ এয়ারক্রাফট । এছাড়া জার্মানী থেকে প্রশিক্ষণ বিমান, ফ্রান্স থেকে অত্যাধুনিক এয়ার রাডার সিস্টেম ও ইটালী থেকে মানুষ বিহীন ড্রোন যুক্ত হয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদন মতে, ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর আওতায় সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নের যে উদ্যোগ নিয়েছে তার অংশ হিসেবে এসব যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করা হয়েছে।

বিশ্বের দেশগুলোর সামরিক সক্ষমতার র‍্যাঙ্কিং প্রকাশকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার।

প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত ২০২৩ মিলিটারি স্ট্রেংথ তালিকা অনুযায়ী ১৪৫ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪০ তম। ভারত পাকিস্তান ও মিয়ানমারে পর দক্ষিণ এশিয়া্র ক্ষমতার দিক থেকে বাংলাদেশ ৪র্থ স্থানে অবস্থান করছে।

২০১৮ সালে ১৩৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ৫৬তম।

বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় ১লক্ষ ৭৫হাজার, বিমান বাহিনীতে প্রায় ২১ হাজার ও নৌবাহিনীতে প্রায় ৩০হাজার সদস্য রয়েছে।

Link copied!