নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রযাত্রায় বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে বেগম রোকেয়া পদক পাচ্ছেন পাঁচ বিশিষ্ট নারী।
তাঁরা হলেন- নারী শিক্ষায় অবদানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য খালেদা একরাম (মরণোত্তর), নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ডা. হালিদা হানুম আখতার, নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা (মরণোত্তর), নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে নিশাত মজুমদার এবং পল্লী উন্নয়নে অবদানে রণিতা বালা।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘আগামী ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবস উদ্যাপন ও বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করা হবে। বেগম রোকেয়া দিবস অনুষ্ঠানে পাঁচজন বিশিষ্ট নারীকে বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানটি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। ’
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ‘রোকেয়া পদকপ্রাপ্তরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পদক গ্রহণ করবেন। পদকপ্রাপ্ত প্রত্যককে ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণনির্মিত একটি পদক, পদকের রেপ্লিকা, ৪ লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।’
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আরও বলেন, ‘বেগম রোকেয়া দিবসে দেশের সব জেলা ও উপজেলায় নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও অধিকার বিষয়ে প্রচার ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আলোচনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। টেলিভিশন ও রেডিওতে নারীর অধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠায় বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। নারী শিক্ষা, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সচেতনতা বাড়াতে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার বিতরণ করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৩০ সালের মধ্যে কর্মস্থলে নারীর অংশগ্রহণ পুরুষের সমান করার (ফিফটি ফিফটি বা ৫০: ৫০) ঘোষণা করেছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ৩৫টি বিভিন্ন ট্রেডে ৭ লাখ নারীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা ও আত্মকর্মসংস্থান—সব ক্ষেত্রে নারীরা আজ সফল অগ্রযাত্রায়। নারীরা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।’