‘বিএনপি খোলাখুলিভাবে একটি জঙ্গি সংগঠন, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আর্বিভুত হয়েছে। আমরা বার বার দাবি তুলছি এই সন্ত্রাসী সংগঠনের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে, তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ তারা জনগণের শত্রু, তারা কিভাবে বাংলাদেশের রাজনীতি করে। এই সংগঠনের এদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নাই।’
বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা-৯ সংসদীয় আসনের খিলগাঁও বিশ্বরোড, সবুজবাগ, মায়াকাননে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আদর্শের কর্মী হিসেবে জনগণের জানমাল রক্ষার্থে, সাধারণ মানুষের জীবনমান স্বাভাবিক রাখতে অবৈধ অবরোধের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন আমাদের নৈতিক দায়িত্ব এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা। যে দিন বিএনপি-জামায়াত এই অবৈধ অবরোধের ডাক দিয়েছে তারপর থেকে আমরা এই শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছি। বিএনপি শুধু অবৈধ সংগঠনই না, তার উৎপত্তিই হয়েছে হত্যা, ক্যু এবং বিভিন্ন ন্যাক্কারজনক ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের মাধ্যমে। এরা কোন প্রকৃত রাজনৈতিক সংগঠন না, এদের মূল উদ্দেশ্যই এদেশের জনগণের ক্ষতিসাধন করা।
তিনি আরও বলেন, তারা কিভাবে সাধারণ মানুষের জানমালের ধ্বংস সাধন করছে, বাসে অগ্নিসংযোগ করে তাদের জীবনকে ঝুঁকির সম্মুখীন করছে। যারা জনগণের সম্পত্তি ধ্বংস করে তারা তো নিশ্চয়ই জনগণের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে যেতে চায় না। তাদের মূল কাজ হচ্ছে জনগণের ওপর চড়াও হওয়া এবং আগামীর নির্বাচনকে বানচাল করা। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোন ভিত্তি, কোন শক্তি তাদের নাই। তারা এটা উপলব্ধি করেছে গত দুইটি সংসদ নির্বাচনে। তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে এবং জনগণের ওপর আস্থা না রেখে তা বর্জনও করেছেন। এতে বোঝা যায় জাতীয় সংসদের প্রতি তাদের কোন আস্থা নাই, এদেশের জনগণের প্রতি তাদের কোন আস্থা নাই, গণতন্ত্রের প্রতি তাদের কোন আস্থা নাই।
বাংলাদেশের জনগণের উদারতা ও সহনশীলতা উল্লেখ করে শেখ পরশ বলেন, বিএনপি অবরোধ ডাকলে এদেশের জনগণ নিরাপদ নয়, সুতরাং জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়া, তাদের পাশে দাড়ানো রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে জনগণের সংগঠন আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এদেশে যতটা অগ্রগতি ও উন্নয়ন হয়েছে তা আওয়ামী লীগ সরকারের সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমেই হয়েছে।
নরসিংদীতে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, খুনি, সন্ত্রাসীর দল, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী জিয়ার রেখে যাওয়া পাপিষ্ঠ দল বিএনপি। বিএনপি-জামাত আবারও মাঠে নেমেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, সেই দেশটিকে ধ্বংস করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি রাজাকারের দল জামায়াত-বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড- শুরু করেছে। তারা গাড়িতে বোমা হামলা চালাচ্ছে, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করছে, শেখ হাসিনার পতন ঘটানোর জন্য। শেখ হাসিনার পতন ঘটানো এতো সহজ নয়। সারা দেশে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা অতন্দ্র প্রহরী হয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।