নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে বিএনপির পদযাত্রায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, পুলিশের লাঠিচার্জ, গাড়ি ভাঙচুর, ইটপাটকেল ও টিয়ারসেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। শনিবার বিকেলে কাঁচপুর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ১৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ৪০ জন আহত হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবির কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর পয়েন্টে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, কেন্দ্রীয় কমিটির সহআর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নির্বাহী সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, রিফাত ও ইকবাল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠি নিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এ সময় নেতাকর্মীরা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ এসে নেতাকর্মীদের রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের তর্ক হয়। একপর্যায়ে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ শুরু করলে নেতাকর্মীরা রাস্তা থেকে সরে যান। পরে তারা আবার লাঠি নিয়ে জড়ো হয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের শুরু হয় পালটাপালটি ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা। এ সময় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পুলিশ এ সময় টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন জানান, আমাদের শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার অবস্থান নিলে পুলিশ এসে অতর্কিত লাঠিচার্জ করেছে। পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের উপর টিয়ার সেল ও গুলি ছুড়েছে। এতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাই মারমা বলেন, অনুমতি ছাড়াই মহাসড়কের কাঁচপুরে জেলা বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচি করতে চেয়েছিল। আমরা তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরে যেতে বললে তারা আমাদের উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আত্মরক্ষার্থে আমরা ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেই।