মাগুরায় আট বছরের শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে প্রধান অভিযুক্ত হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (১৭ মে) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বেকসুর খালাস পেয়েছেন তিনজন—হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগম (৪০), ছেলে সজীব শেখ (২০) ও রাতুল শেখ (২৫)।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, মামলায় ২৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং সাতটি আলামত উপস্থাপন করা হয়েছে।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, রমজান উপলক্ষে শিশুটি বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। ৫ মার্চ রাতে তাকে ধর্ষণ করা হয় এবং শারীরিক নির্যাতনের ফলে সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে তাকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ও পরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে ১৩ মার্চ তার মৃত্যু হয়।
৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ১৩ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
১৭ এপ্রিল মামলাটি ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয় এবং ২০ এপ্রিল অভিযোগ গৃহীত হয়। এর আগে ১৫ মার্চ হিটু শেখ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
২৭ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় এবং বিচারিক কার্যক্রম মাত্র ১৩ কার্যদিবসে শেষ হয়। হিটু শেখের বিরুদ্ধে ৯(২) ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যু) অভিযোগ আনা হয়, আর অন্যদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্ট ও হুমকির অভিযোগ ছিল। তবে আদালত পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে তাদের খালাস দেন।
এই রায়কে বিচারব্যবস্থার জন্য একটি দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।