এপ্রিল ২, ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম
আসন্ন ঈদুল-ফিতরের পর পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদামের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ‘পুরনো ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে যানজটের প্রভাব ও উত্তরণের উপায় চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক এক স্টেকহোল্ডার মতবিনিময় সভায় এই হুঁশিয়ারি দেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র। এই সভায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) উদ্যোগে মতিঝিলের ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হয়।
তাপস বলেন, ‘পুরনো ঢাকা আমরা আর ঝুঁকিপূর্ণ রাখতে পারি না। কিছুদিন আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং এটা প্রতিনিয়ত ঘটছে। এরই মধ্যে রাসায়নিক দ্রব্যাদি স্থানান্তরের জন্য যে গুদামঘর, কারখানা প্রয়োজন তা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে শ্যামপুরে শিল্পাঞ্চলে করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত সেখানে মাত্র একজন গেছেন। আমরা তাকে বাণিজ্য অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) দিয়েছি। আরেকজন আবেদন করেছেন। সেটাও আমরা করে দিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই সভার মাধ্যমে পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ব্যবসায়ীদের প্রতি আমার নিবেদন ও কঠোর হুঁশিয়ারি, আপনারা আইন অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে সেখানে স্থানান্তর হোন। নয়তো ঈদের পর আমরা চিরুনি অভিযান শুরু করবো।’
রাসায়নিক দ্রব্যাদির ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত হয় এমন ভবন প্রয়োজনে সিলগালা করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেয়র শেখ তাপস। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের তালিকাভুক্ত ১ হাজার ৯২৪টি রাসায়নিক দ্রবাদির গুদাম ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সেখানে রয়েছে। আমরা ২০১৭ সালের পর থেকে সেসব প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন বন্ধ রেখেছি। তারপরও আপনারা বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সেখানে ব্যবসা করছেন। আমরা ঈদের পরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে সবগুলো বন্ধ করে দেবো।’
ডিসিসিআইয়ের সভাপতি আশরাফ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক মো. আব্দুল বাকী মিয়াসহ পুরান ঢাকাকেন্দ্রীক ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এতে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মিজানুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, এফবিসিসিআই, ডিসিসিআইসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।