আগস্ট ১৭, ২০২৩, ০৭:৪৯ পিএম
বিএনপি ও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নির্বাচনে আসার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, “ফখরুল সাহেব, মাথা থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভুত নামান। নির্বাচনের পথে আসুন। না হয় আমও যাবে, ছালাও যাবে।“
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে’ তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে ও হাওয়া ভবনে বসে তারেক জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ-জেএমবি ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল।
‘বিএনপি সন্ত্রাসী দল’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এই দল সন্ত্রাসী দল এদের কে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া যায়না এই কথা আমাদের নয় কানাডার আদালত। আমেরিকাতেও হোম সিকিউরিটি স্বীকৃতি দিয়েছে তারা (বিএনপি) সন্ত্রাসী দল।”
দেশে সংবিধান অনুযায়িই জাতীয় নির্বাচন হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “ বিএনপি নেতাদের প্রতিদিন এক দাবী তত্বাবধায়ক সরকার। পৃথিবীতে একটা দেশ আছে যে দেশে ত্বতাবধায়ক আছে সেটা হলো পাকিস্তান। আমি বলবো দলবল নিয়ে চলে যান পেয়ারে পাকিস্তান।”
এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ফখরুল সাহেব, মাথা থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভুত নামান। নির্বাচনের পথে আসুন। না হয় আমও যাবে, ছালাও যাবে।“
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “
২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার প্রধান টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনা। আপনার সতর্ক থাকবেন আবারো অস্ত্র শানিত হচ্ছে। আবারো হামলা করতে তারা গোপন বৈঠক করছে। বিএনপি যতদিন থাকবে ততদিন তাদের অপশক্তি, অপতৎপরতা জাগ্রত থাকবে। তাই তাদের প্রতিহত করতে হবে।”
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।