এপ্রিল ২, ২০২৪, ০৯:২২ পিএম
মানবাধিকার সুরক্ষায় গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর দুইটায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আয়োজনে ‘মানবাধিকার সুরক্ষায় গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা’ শীর্ষক এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার বিষয়টি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গণমাধ্যমের নিত্যচর্চার বিষয়। এ কারণে গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মীদের কাজ সমমুখী।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্ত গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সুরক্ষা একে অন্যের পরিপূরক। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিবিড়ভাবে করে থাকে কমিশন। এ পর্যন্ত দেশের যে প্রান্তেই সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছে কমিশন সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে।’
মানবাধিকারের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ, সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও আইনি সুরক্ষা, গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে এই মতবিনিময় সভায় আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি বক্তারা জনগণের অধিকার সচেতনতা বৃদ্ধি, সংবিধান, আইন ও অধিকার সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় জ্ঞানের প্রসারে গণমাধ্যমকে সার্বিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
পারস্পরিক সম্পর্ক কীভাবে নির্মাণ করতে পারি তা আমাদের ভাবতে হবে: শ্যামল দত্ত
সভায় ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘গণমাধ্যম ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কীভাবে এক হয়ে কাজ করলে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা পারস্পরিক সম্পর্ক কীভাবে নির্মাণ করতে পারি সে বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’
মানবাধিকার সুরক্ষায় সবচেয়ে বড় অস্ত্র জনগণ: সৈয়দ বোরহান কবীর
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সৈয়দ বোরহান কবীর। গণতান্ত্রিক সংগ্রামে নিপীড়িত বিশ্বের বড় বড় নেতাদের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার সুরক্ষায় সবচেয়ে বড় অস্ত্র হচ্ছে জনগণ। যে দেশে জনগণ মানবাধিকারের প্রশ্নে যতটা সচেতন সেই দেশ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় তত এগিয়ে।’
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন: মো. সেলিম রেজা
কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা বলেছেন, ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে শহীদুল্লাহ কায়সার, শহীদ সাবের, সিরাজুদ্দীন আহমেদ, সেলিনা পারভীনসহ অগণিত সাংবাদিক প্রাণ দিয়েছেন। আমরা তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, ড. তানিয়া হক ও কংজরী চৌধুরী, সচিব সেবাস্টিন রেমা, পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মো. আশরাফুল আলম ও পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক।
এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক। সভার শুরুতে কমিশনের পরিচিতি তুলে ধরেন কমিশনের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ‘পরিপ্রেক্ষিতে’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর।