পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শস্যক্ষেতে বিষ প্রয়োগের কারণে কবুতরসহ কয়েকশত পাখির মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে এই অঞ্চলের কবুতর খামারির বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত শনিবার ও রবিবার কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম হাজিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এই এলাকার কৃষক মেহেদী শেখ তার শস্যক্ষেতে বিষ প্রয়োগের ফলে এসব পাখির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। আগের বছরও এই এলাকার শষ্যক্ষেতে বিষ প্রয়োগের ফলে বেশ কিছু কবুতর মারা যায় বলে জানান স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী কবুতর খামারি মেসকাত মিয়া জানান, তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি বেশ কিছু কবুতর পালন করেন। গত শনিবার সকালে প্রায় ৪২টা কবুতর খাঁচা থেকে ছাড়েন। দুপুর ১২টার দিকে বাড়িতে এসে দেখতে পান তার ২২টি কবুতর মারা গেছে।
কবুতর মারা যাওয়ার কারন হিসেবে তিনি বাড়ির পেছনের জমির মালিক মেহদী শেখকে দায়ী করেছেন।
এসম্পর্কে মেসকাত মিয়া আরও বলেন, মেহদী শেখ তার জমির ফসল রক্ষা করার জন্য ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ছিটিয়ে দিয়েছেন। তার জমি থেকে ধান খেয়ে আসার পরপরই আমার কবুতরগুলো মারা যায়। শুধু মেসকাত মিয়ার কবুতরই নয়, এই এলাকার অনেক কবুতরসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির মৃত্যু হয়েছেও বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষক মেহেদী শেখ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি নিজেও কবুতর পালন করেন। পশু পাখির ক্ষতি হয় এমন কাজ তিনি করতে পারেননা।
এনিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া শাখার টিম লিডার রাকায়েত আহসান বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাখি ও কবুতরের মৃত্যুর সত্যতা পেয়েছি। বন বিভাগকে খবর দিয়ে স্থানীয় কৃষকদের সচেতন করেছি। আশা করছি তারা ক্ষেতে বিষ প্রয়োগের বিষয়ে সচেতন হবে।
কলাপাড়া বন বিভাগের সদস্য নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা কামরুল আলম বলেন, ডাল ক্ষেতে বিষ প্রয়োগের ফলে এসব পাখি ও কবুতরের মৃত্যু হয়েছে এবং একজন কৃষককে অভিযুক্ত করেছেন এই এলাকার খামারিরা। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।