চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ৯, ২০২৫, ০৮:৩২ এএম

চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান শেষে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হত্যা মামলার প্রেক্ষাপটে পালিয়ে যাওয়ার যে জল্পনা-কল্পনা চলছিল, দেশে ফিরে সেটির অবসান ঘটালেন তিনি।

রবিবার (৯ জুন) ভোররাতে থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩৩৯ নম্বর ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

রাত আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটে বিমান থেকে নামার পর রাত ১টা ৪৫ মিনিটে হুইলচেয়ারে করে তাকে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে নেয়া হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর, রাত ৩টার দিকে তিনি ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আবদুল হামিদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন।

গত ৮ মে থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ।

তাঁর হঠাৎ বিদেশযাত্রা নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা ও রাজনৈতিক বিতর্ক। অনেকেই অভিযোগ তোলেন, তিনি হয়তো দেশে দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলার মুখোমুখি না হয়ে পালিয়ে গেছেন।

তবে তখন ইমিগ্রেশন ও পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, আবদুল হামিদের নামে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল না এবং তিনি শুধুমাত্র চিকিৎসার উদ্দেশ্যেই দেশ ছাড়েন।

তারপরও অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেনইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহসিনা আরিফ, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আজহারুল ইসলাম এবং এসবির এটিএসআই মো. সোলায়মান।

২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে সংঘটিত সহিংস রাজনৈতিক ঘটনায় প্রাণহানির অভিযোগে সারাদেশে মামলা হয় দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে।

এই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় আবদুল হামিদের বিরুদ্ধেও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের মার্চে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন।

একই বছরের ২৪ এপ্রিল তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পরে ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল তাঁর মেয়াদ শেষ হয় এবং মো. সাহাবুদ্দিন তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।

Link copied!