ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪, ০৯:৩২ পিএম
রাজধানীর বেইলি রোডে ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নারী ও শিশুসহ ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে চুলার আগুন বা গ্যাস লিকেজ থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন জানান, ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরে এমনকি সিঁড়িতেও রাখা ছিল ৩৫ কেজি ওজনের অনেক গ্যাস সিলিন্ডার।
ভবনে কেবল একটি সিঁড়ি ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার ধারণা চুলা থেকে অথবা গ্যাস লিক থেকে আগুন হতে পারে। দ্বিতীয় তলা ছাড়া প্রতিটি তলাতে এমনকি সিঁড়িতে গ্যাসের সিলিন্ডার ছিল। এ জন্য এটা বিপজ্জনক।”
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন : বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুন
ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক বলেন, ‘১৩টি ইউনিট আগুন নির্বাপণে কাজ করে। আমরা ৩ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করি। ৪২ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছি এবং জীবিত অবস্থায় ৭৫ জনকে উদ্ধার করেছি।’
এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে এই কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন। কমিটিতে সংশ্লিষ্ট জোনের ডিএডি, সিনিয়র স্টেশন অফিসার ও ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টরকে রাখা হয়েছে। তবে কতদিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে বলা হয়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, বার্ন ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। অপরদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৩ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন : বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড : ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
এছাড়াও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, পুলিশ হাসপাতালে মৃত ব্যক্তি ভবনটিতে থাকা ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের’ হিসাবরক্ষক ছিলেন।
সাত তলা ভবনটিতে স্যামসাংয়ের শোরুম, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, পিজ্জা ইন, স্ট্রিট ওভেন, খানাসসহ আরও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এছাড়া ইলিয়েন, ক্লোজেস্ট ক্লাউডসহ পোশাকের জনপ্রিয় দোকানও রয়েছে।