বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড : ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ১, ২০২৪, ০৩:১৫ এএম

বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড : ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

রাজধানীর বেইলি রোডে ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ নামক একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।  

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, বার্ন ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। অপরদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৩ জন মারা গেছেন।

এছাড়াও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, পুলিশ হাসপাতালে মৃত ব্যক্তি ভবনটিতে থাকা ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের’ হিসাবরক্ষক ছিলেন।

এর আগে রাত দেড়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন জানান, ফায়ার সার্ভিস ভবনটি থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। 

আরও পড়ুন: ‘গ্রিন কোজি কটেজের’ সব তলাতেই ছিল গ্যাস সিলিন্ডার; এমনকি সিঁড়িতেও

ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের ১৩টি ইউনিট আগুন নির্বাপণে কাজ করে। আমরা ৩ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করি। ৪২ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছি এবং জীবিত অবস্থায় ৭৫ জনকে উদ্ধার করেছি।’

এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে এই কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন। কমিটিতে সংশ্লিষ্ট জোনের ডিএডি, সিনিয়র স্টেশন অফিসার ও ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টরকে রাখা হয়েছে। তবে কতদিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে বলা হয়নি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

আরও পড়ুন : গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে: ফায়ার সার্ভিস

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর তা উপরের তলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই তিন জনের মৃত্যু হয়।  আগুন বাড়তে থাকলে আতঙ্কিত লোকজন উপরের দিকে উঠে যায়। এ সময় ভবন থেকে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে কয়েকজন আহত হন।

আগুন নেভানোর পাশাপাশি ভবনে আটকা পড়া ব্যক্তিদের মই দিয়ে নামিয়ে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ৭৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

সাত তলা ভবনটিতে স্যামসাংয়ের শোরুম, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, পিজ্জা ইন, স্ট্রিট ওভেন, খানাসসহ আরও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এছাড়া ইলিয়েন, ক্লোজেস্ট ক্লাউডসহ পোশাকের জনপ্রিয় দোকানও রয়েছে। 

Link copied!