আগস্ট ২১, ২০২৪, ০৯:১৭ পিএম
সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের কূটনৈতিক বা লাল পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। তারা জানায়, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এরই মধ্যে দেশের সব ইমিগ্রেশন বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এর ঠিক দুই সপ্তাহ পর বুধবার (২১ আগস্ট) এই সিদ্ধান্ত নিলো ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা ইতোমধ্যেই অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে (ডিআইপি) এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। ডিআইপি এরই মধ্যে প্রক্রিয়াটি শুরু করেছে এবং আশা করছি শীঘ্রই আদেশ জারি করা হবে।”
এ সময় এমপিদের পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে সিনিয়র সচিব বলেন, “যেহেতু আমরা প্রাথমিক পাসপোর্টধারীর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করছি, স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্টও বাতিল হয়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি কেউ (কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী) নতুন পাসপোর্ট নিতে চান, তবে তাকে অবশ্যই প্রথমে কূটনৈতিক বা লাল পাসপোর্টটি জমা দিতে হবে ও এরপর আইনানুযায়ী সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।”
জানা গেছে, লাল পাসপোর্ট বাতিল হলে ফৌজদারি মামলা রয়েছে বা গ্রেপ্তার হয়েছেন এমন সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে আদালতের আদেশ পাওয়ার পরই তারা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।