অক্টোবর ৮, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘আমি একদম কোনো এক্সিট খুঁজছি না। দেশেই ছিলাম। এর আগেও বহু ঝড়-ঝঞ্ঝা এসেছে, ওই সব ঝড়-ঝঞ্ঝা প্রতিহত করে দেশে থেকেছি। বাকিটা জীবনও বাংলাদেশে কাটিয়ে যাব।’
বুধবার, ০৮ অক্টোবর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
‘অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আঁতাত করে এখন সেফ এক্সিটের কথা ভাবছে’—জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের এই মন্তব্যের ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি যেটুকু দেখতে পাই খোলা চোখে সেটা হচ্ছে, সব রাজনৈতিক দলের মতো এই নবগঠিত রাজনৈতিক দলের (এনসিপি) সঙ্গে সরকারের ভালো একটা ওয়ার্কিং রিলেশনশিপ আছে।’
‘এটা উনি অভিমান থেকে বলেছেন নাকি কোনো একটা ব্যাপারে উনার গ্রিভেন্স আছে, এই বিষয়গুলো পরিষ্কার উনাকে করতে হবে। উনি যদি কখনো কোনো বিষয় পরিষ্কার করেন, তখন সেটা নিয়ে সরকারের বক্তব্যের কথা আসে। তার আগে তো সরকারের বক্তব্যের কোনো সুযোগ নাই,’ বলেন তিনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা নানা বিষয়ে নানা কথা বলে যাচ্ছেন, সরকারের বিভিন্ন বিষয়ে। এটা বলা তাদের তো অধিকার! এটাই তো গণতন্ত্রের চর্চা।’
‘প্রতিটা বিষয় নিয়ে আমরা যদি প্রতিক্রিয়া দেখাই, প্রতিটা বিষয় নিয়ে যদি আমরা চিন্তা করি, তাহলে আমাদের মন্ত্রণালয়গুলো আমরা কখন চালাবো,’ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘যখন কোনো একটা বিষয় আমাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে, তখন অবশ্যই সরকার সেই বিষয় নিয়ে কথা বলবে। সে বিষয় নিয়ে কাজ করবে, এনগেইজ হবে, সবাইকে জানাবে। অনানুষ্ঠানিক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষে কিছু বলা সম্ভব না।’
এ ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, ‘তাকে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে হবে। তার বক্তব্য তো আমার সাবস্টেনশিয়েট করার বিষয় না। আমার খণ্ডানোরও বিষয় না। বক্তব্য সুনির্দিষ্ট হলে হয়তো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কথা বলা হতো।’
‘এটা হয়তো তাদের ধারণা, তারা মনে করে, তাদের বক্তব্য হিসেবে বলেছে। এখানে সরকারের অবস্থান নেওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই। সরকারের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই,’ যোগ করেন তিনি।