সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘এখানে (বিশ্ববিদ্যালয়) ওপেন কালচার ছিল, ছেলেমেয়েরা যা খুশি, তা–ই করতে পারত। কেউ কিছু বলতে পারত না। কারণ, তাদের বয়স ১৮ বছর। কিন্তু আমি বলেছি, সাড়ে ১০টার মধ্যে হলে ঢুকতে হবে। তারা (শিক্ষার্থী) এটার নাম দিয়েছে তালেবানি কালচার। তালেবানি কালচার নিয়ে আমি খুবই গৌরবান্বিত, এটা নিয়ে থাকতে চাই। আমি ওপেন কালচার চাই না।’
আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়ামে আয়োজিত তথ্য অধিকারবিষয়ক এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, “আপনারা চান কিনা, আমি জানি না। আমি চাই না, আমার ছেলেমেয়েরা, সন্তানেরা...ঘুরে বেড়াক। তাদের বাবা-মায়েরা সারা রাত ঘুরে বেড়ানোর জন্য পাঠাননি। বাবা-মায়েরা কিন্তু উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকেন, টেনশনে থাকেন; আমার মেয়ে কোথায় আছে, ছেলে কোথায় আছে। সে জন্য তাদের দায়িত্ব আমরা নিয়েছি। আমরা তাদের গার্ডিয়ান, আমরা তাদের হেফাজতকারী। আমরা কিন্তু ওই জিনিসটা অ্যালাউ করব না, কোনোভাবেই করব না।”
সেমিনারে মূল আলোচকের বক্তব্য দেন ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের উপপরিচালক মো. আবদুল মান্নান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের জানুয়ারি মাসে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। পরে আন্দোলনে পুলিশ দিয়ে হামলা চালানো হলে সেটি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। সেসময় লেখক জাফর ইকবাল ছাত্রদের অনশন ভাঙান। তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া্ পূরণের আশ্বাস দিয়ে ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। তবে সেইসব আশ্বাস আর পূরণ হয়নি। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশি ভয়ের রাজত্ব তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলমগীর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য মো. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আমিনা পারভীন ও ইউজিসির সচিব ফেরদৌস জামান।