নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সরকারের পদত্যাগসহ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে জোটের শরিক দল ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে শুক্রবার (১১ আগস্ট) গণমিছিল করছে বিএনপি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা বিএনপি ওইদিন দুটি পৃথক গণমিছিল শুরু হয়েছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে গণমিছিলে বিএনপি, এর সহযোগি সংগঠন ও জোটের অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
শুক্রবার বাদ জুম্মা বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকা উত্তর বিএনপির ব্যবস্থাপনায় গণমিছিলে অংশ নিতে রাজধানীর বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে জড়ো হন বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে গণমিছিল করে দলটি। বাড্ডা সুবাস্ত টাওয়ার থেকে আবুল হোটেল পর্যন্ত গণমিছিল করে ঢাকা উত্তর বিএনপি।
এছাড়া একই সময়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা বিএনপি কমলাপুর স্টেডিয়াম থেকে মালিবাগ রেলগেট পর্যন্ত গণমিছিল করছে।বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো নেতাকর্মী খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হয়েছেন মিছিলপূর্ব সমাবেশস্থলে। তারা সরকারের পতন দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যের পরই গণমিছিল শুরু হয়।
গণমিছিল কেন্দ্র করে কমলাপুর স্টেডিয়ামে জড়ো হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় অনেকের হাতে ছাতা দেখা যায়। দক্ষিণের বিভিন্ন ইউনিট ও অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে নেতাকর্মী এসেছেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির গণমিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা অংশ নেন।
এ গণমিছিলের সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান। সাথে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক।
ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের গণমিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ অনেকে অংশ নেন।
ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের গণমিছিল সমন্বয় করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন তাকে সহযোগিতা করেন।