মন্ত্রিসভার আকার বাড়ছে। নতুন কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী যুক্ত হতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় । আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সংরক্ষিত আসনের এমপিদের শপথের পর বিষয়টি স্পষ্ট হতে পারে।
নতুন করে কাদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে সে ব্যাপারে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এর মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে তিন-চারজন মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন, এমন আলোচনা রয়েছে।
এর আগে কর্মকর্তারা জানান, মন্ত্রিসভা গঠনের পুরোপুরি এখতিয়ার সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর হাতে। তিনি কাকে অন্তর্ভুক্ত করবেন এবং কাকে বাদ দেবেন সেটি তার এখতিয়ার। তবে মন্ত্রিসভায় বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে বেশিরভাগ নতুনদের স্থান দেওয়া এবং নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়টি ইতিবাচক। তারা বলেন, ১১ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ার পর থেকেই বোঝা গিয়েছিল বর্তমান মন্ত্রিসভা পূর্ণাঙ্গ নয়। একাধিক মন্ত্রী জানান, সংরক্ষিত আসনে নারী এমপিদের মনোনয়ন ও নির্বাচন চূড়ান্ত হবে। এরপরই মন্ত্রিসভার আকার বাড়তে পারে। তাদের মতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের যে কাজের পরিধি ও কাজের চাপ সেই তুলনায় বর্তমান মন্ত্রিসভা অত্যন্ত ছোট। এ কারণেই সম্প্রসারণ করা হবে। তবে পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তের ওপর।
নতুন মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছেন টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ৩৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভায় প্রথমবারের মতো যুক্ত হয়েছেন ১৪ জন। এই তালিকায় স্থান পাননি বিদায়ি মন্ত্রিসভার ২৮ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী। বাদ পড়াদের মধ্যে রয়েছেন ১৪ জন মন্ত্রী, ১২ জন প্রতিমন্ত্রী ও দুজন উপমন্ত্রী। বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও বিভিন্ন সময়ে বেফাঁস মন্তব্যসহ মন্ত্রণালয়ে অনুপস্থিতি, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা, অবৈধ সম্পদ অর্জন, স্বজনপ্রীতি ও সফলতার সঙ্গে কাজ করতে না পারায় বাদ পড়েছেন কেউ কেউ। এ ছাড়া নতুনদের জায়গা দিতে একাধিক মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বিদায়ি মন্ত্রিসভার আকার ছিল ৪৮ সদস্যের।