সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩, ০১:৫৩ পিএম
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা-বিমানবন্দর অংশ উদ্বোধন করবেন। এ অংশে যানবাহন চলাচল শুরু হবে আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে।
সরকারি–বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) বড় প্রকল্পের একটি এই উড়ালসড়ক পাড়ি দিতে গাড়িভেদে দিতে হবে টোল। আর আগামী সাড়ে ২১ বছর এই টোল আদায় করবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ ছাড়া থাইল্যান্ড ও চীনভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠান এই উড়ালসড়কের বিনিয়োগ এবং নির্মাণকাজের অংশীদার।
চুক্তি অনুসারে, বিনিয়োগকারীদের অধীনে থাকা অবস্থায় উড়ালসড়ক থেকে বাংলাদেশ ফি হিসেবে পাবে মাত্র ২৭২ কোটি টাকা। তবে তা একবারে নয়, বছর বছর দেবে তারা। কোন বছর কত টাকা দেবে, এর একটা তালিকাও চুক্তিতে রয়েছে।
উড়ালসড়ক নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য ফাস্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে লিমিটেড কোম্পানি গঠন করা হয়েছে। এতে ইতাল–থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানির শেয়ার ৫১ শতাংশ। চীনের শেনডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো–অপারেশন গ্রুপের মালিকানা ৩৪ শতাংশ। চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশনের শেয়ার ১৫ শতাংশ।
এর বাইরে উড়ালসড়কের জন্য জমি দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন, বিভিন্ন সেবা সংস্থার লাইন সরানো ও পরামর্শকদের ব্যয় মেটানোর দায়িত্বও বাংলাদেশ সরকারের। এ জন্য সাপোর্ট টু এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নামে আরেকটি প্রকল্প চলমান রয়েছে সেতু বিভাগের। শুরুতে ২০১১ সালে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ২১৬ কোটি টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা।