বেটা
অক্টোবর ৪, ২০২৫, ১২:১৪ পিএম
মারমা কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে চার দিন ধরে চলা অবরোধ কর্মসূচি স্থগিতের পর এবার সম্পূর্ণভাবে তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জুম্ম ছাত্র-জনতা। শনিবার সকালে সংগঠনটির মিডিয়া সেলের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “শহীদদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পুণ্যকর্ম সম্পাদন, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি মানবিক সহায়তা প্রদান এবং প্রশাসনের আশ্বাসকে আংশিক বিবেচনায় রেখে অবরোধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
সংগঠনটি জানায়, খাগড়াছড়ি ও গুইমারার সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়ে গত ১ অক্টোবর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, পুলিশ ও গোয়েন্দা প্রতিনিধিদের সঙ্গে জুম্ম ছাত্র-জনতার দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয়। বৈঠকে তারা আট দফা দাবি, ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার এবং সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলে ধরেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আলোচনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয় এবং শহীদ পরিবারের প্রতি নগদ ৫০ হাজার টাকা সহায়তার ঘোষণা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় মারমা সম্প্রদায়ের এক কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পর থেকেই পার্বত্য এই জেলায় উত্তেজনা ও বিক্ষোভ চলতে থাকে।
পরদিন সেনাবাহিনীর সহায়তায় এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ২৫ সেপ্টেম্বর আধাবেলা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে জুম্ম ছাত্র-জনতা।
২৭ সেপ্টেম্বর ভোরে সংগঠনটি অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ঘোষণা দেয়, ফলে চট্টগ্রাম–খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি–রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি–সাজেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন গুইমারায় ১৪৪ ধারা চলার মধ্যেই সহিংসতায় তিন পাহাড়ি নিহত হন।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। টানা চার দিনের অবরোধ শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে তা ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করে জুম্ম ছাত্র-জনতা। ওইদিনই চিকিৎসকরা জানান, কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি।
এদিকে, খাগড়াছড়ির গুইমারা ও সদর উপজেলায় সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ তিনটি মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় এক হাজারেরও বেশি অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
