অক্টোবর ২, ২০২৩, ০৮:০২ পিএম
‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো সম্ভব নয় বলে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। কাজেই এ ব্যাপারে সরকারের কিছু করার নেই।’
সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়ার ছোটভাই যে আবেদন করেছিলেন সেখানে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে কিছু আইনি জটিলতা থাকায় আমরা আবেদনটি পাওয়ার পর পরেই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি তাদের মতামতের জন্য’।
তিনি বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় গতকাল (১ অক্টোবর) তাদের মতামত দিয়ে আবেদনটি আবার আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মতামত খালেদা জিয়ার পক্ষে আসেনি। তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় বলে আইন মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। কাজেই এখন আমাদের আর কিছু করণীয় নেই বলে আমি মনে করছি’।
বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে ইতোমধ্যে তারা সরকরের সিদ্ধান্ত জেনে গেছে। এর বাইরে তারা আরও কিছু জানতে চাইলে সেটিও জানানো হবে। তবে আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে চাইলে তার পরিবারকে কোন প্রক্রিয়ায় যেতে হবে, সেটিও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, তাকে এখন যে আদেশ বলে ৪০১ ধারায় দুটি শর্তে ছয়মাসের জন্য সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেটা বাতিল করে পুনরায় বিবেচনা করার সুযোগ থাকলে সেটা করা হবে।
বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের বক্তব্য ‘এটি আইনগত নয় বরং রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত’—প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট তো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আসে না। একটি অঘটন ঘটলে তার বিচার হয়... আপনারা সবসময় এমনটা দেখে আসছেন। আমাদের আইন ও বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। সেখানে আমাদের কিছুই করার নেই। আপনারা যেটা ইঙ্গিত করছেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি চাইলে তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। কিন্তু তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের যে মতামত দেওয়া হয়েছে, সেটি আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি। এর বাইরে আমাদের কিছুই করার নেই’।