বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করেছেন মেডিকেল বোর্ড।
রিপোর্ট পর্যালোচনার পরই বৃহস্পতিবার বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, “স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার পর বুধবার রাতে সেখানে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। রাতেই তার কিছু মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করেছেন।`
তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়া বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আজ তার আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
খালেদা জিয়াকে কতদিন হাসপাতালে থাকতে হবে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, তারা আজ(বৃহস্পতিবার) তার রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করবেন এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।”
প্রসঙ্গত, এর আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে সবশেষ গত বছরের ১০ জুন রাত পৌনে তিনটার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে চিকিৎসাধীন থেকে এনজিওগ্রাম করে তার হার্টে একটি রিং বসানো হয়। হার্টের দুটি ব্লক এখনো রয়ে গেছে।
৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। কারাগার থেকে বেরোনোর পর চিকিৎসার জন্য কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে যান। পরে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে ‘সাময়িক মুক্তি’ দেয় সরকার। এরপর কয়েক দফা তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।