মে ২৭, ২০২২, ০৫:০৬ এএম
খুলনায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে মহানগরীর কেডি ঘোষ রোডে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকেলে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় মিছিল বের করেন মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিকে আসতে থাকেন। পিকচার প্যালেস মোড়ে তাদের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। হামলা ভাঙচুর ও সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছেন। থেমে থেমে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও টিয়ার সেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানায়, সমাবেশে অংশ নিতে বিকেলে তেরখাদা উপজেলা থেকে বিএনপির একটি মিছিল দলীয় কার্যালয়ের দিকে আসার সময় কেসিসি সুপার মার্কেটের সামনে মিছিলে বাঁধা দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় কয়েকজনকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ খবর কেডি ঘোষ রোডে সমাবেশ স্থলে পৌঁছালে বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলের গিয়ে অগ্রসর হয়। পুলিশ বাঁধা দিলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুড়লে পুলিশ পাল্টা টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এর কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগ ও পুলিশ একত্রিত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। তারা সমাবেশ স্থলে এসে চেয়ার ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মহিলা দল নেত্রীসহ ৩০ জনকে আটক করে।
বিএনপির মহানগর আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শুরু করি। সমাবেশে আসা মিছিলের ওপর প্রথম ছাত্রলীগ হামলা করে। পরে তাদের সঙ্গে পুলিশ একত্রিত হয়ে সমাবেশ স্থলে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। বিএনপি অসংখ্য নেতাকর্মী আহত ও আটক হয়েছেন। খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রদলের নেতারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ৫০ রাউন্ড টিয়ারসেল, ১৫০ রাউন্ড রারার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের ১৪ জন সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।