তারেক ও জুবাইদাকে দেশে আনতে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ১০, ২০২৩, ০৪:৩২ পিএম

তারেক ও জুবাইদাকে দেশে আনতে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে। 

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনাসহ চার দফা দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে স্মারকলিপি দেয় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা তাদের স্মারকলিপি পেয়েছি। আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে করা দরকার, সেটা আমরা করব। আমরা সব ঘটনা জানি। ইতিমধ্যে তারেক জিয়া ও তার স্ত্রী আদালত দ্বারা দণ্ডিত। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের যা যা করার আমরা করব।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় সবগুলো যৌক্তিক দাবি আমরা এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেব।’ 

যুবলীগের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা। এ ছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর ও বিএনপি-জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

পরশ বলেন, আমরা দাবিগুলো নিয়ে আইন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশনে যাব। আমাদের দাবি অত্যন্ত পরিষ্কার। ১৯৭৫ সালে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড যে জিয়াউর রহমান সেটি জনসাধারণের কাছে পরিষ্কার। কারণ তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী। তারাই বন্দুকের নল উঁচু করে দল গঠন করেছে। তারা সন্ত্রাস দ্বারা সৃষ্টি। এ সংগঠন  বাংলাদেশের জনগণের ওপর ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে যে নির্যাতন করেছে; একাত্তরের আদলে তারা যেভাবে সন্ত্রাস, নির্যাতন, খুন, রাহাজানি করেছে- আমরা নৈতিকভাবে মনে করি বিএনপি-জামাতের এ দেশের রাজনীতি করার অধিকার নেই।

তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয়ত আমরা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই। এটি আজকের যুব সমাজ এবং প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণের ক্ষেত্রে যারা সংগ্রাম করে যাচ্ছে, সেই সব নাগরিকের প্রত্যাশা। এটা না হলে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হবে না। তাই জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার এখন সময়ের দাবি এবং একটি ন্যায্য দাবি বলে আমরা মনে করি। এ দাবি আজ আমরা উপস্থাপন করার জন্য এসেছি।’

এছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে যে ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ড হয়েছে, এর মাধ্যমে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সপক্ষ শক্তিকে সর্বোপরি আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনারসহ তার সংগঠনকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায় রয়েছে। সেই রায় কার্যকর করার জন্য আমরা চাই খুনি তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘কারণ সে বিদেশ থেকে ন্যাক্কারজনক কার্যকলাপ করে যাচ্ছে, সন্ত্রাস করছে। গতকালকে আমাদের যুবলীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। তারা ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী হত্যা করেছে। প্রায় ২৫ হাজার নেতাকর্মী হত্যা করেছে। আমাদের দাবি বিএনপি-জামাতের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। যাতে তারা এ দেশে রাজনীতি করতে না পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া বিভিন্ন দেশে যে পলাতক খুনিরা রয়েছেন এবং তাদের ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় দাঁড় করালেই আমাদের প্রকৃতপক্ষে যে প্রগতি, উন্নয়ন ও মূল্যবোধের যে উৎকর্ষ সাধন সেগুলো পরিপূর্ণতা লাভ করবে। একটি সভ্য দেশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব দরবারে আমাদের মর্যাদা দিয়েছেন, আমাদের নাম দিয়েছেন। সেই নামের ধারাবাহিকতা আগামী প্রজন্ম টেনে নিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা আমরা ব্যক্ত করছি।’

Link copied!