অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য। শারদীয় দুর্গাপূজা বাঙালি হিন্দুধর্মাবলম্বী মানুষের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসব বাঙালি কৃষ্টি ও সংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য।
আজ শনিবার পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মধ্যে দিয়ে শুরু হলো শুভ সপ্তমী। সকালে রাজধানীর পূজামণ্ডপগুলোয় ঘুরে দেখা যায় মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে মহাসপ্তমীর মহাউৎসব।
উলুধ্বনি, শাঁখের সুর, সঙ্গে ঢোলের তাল ও মাতৃবন্দনার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় সকালে। নানাবিধ উপাচারে ডালা সাজিয়ে আসতে থাকেন ভক্তরা।
মহাসপ্তমীতে পূজার উপাদান হিসেবে সকালে দেবী দুর্গার চক্ষুদান, আসন, বস্ত্র, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা দেওয়া হয়। দুপুরে মণ্ডপে মণ্ডপে চলে খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ। এ ছাড়া সপ্তমীর সন্ধ্যায় ভক্তিমূলক গান, রামায়ণপালা, আরতিসহ সাজানো হয়েছে অনুষ্ঠানমালা।
হিন্দুশাস্ত্রমতে, শ্বশুরবাড়ি কৈলাস থেকে কন্যারূপে দেবী বাপের বাড়ি বেড়াতে মর্ত্যলোকে এসেছেন। অসুরশক্তির কাছে পরাভূত দেবতারা স্বর্গলোকচ্যুত হয়েছিলেন। এই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে একত্র হন দেবতারা। অসুর শক্তির বিনাশে অনুভূত হলো এক মহাশক্তির আবির্ভাব। দেবতাদের তেজোরশ্মি থেকে আবির্ভূত হলেন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা। আবির্ভূত হওয়ার পর দেবী দুর্গা আসুরিক শক্তিকে বিনাশ করে ত্রিভুবন রক্ষা করেন।