চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূলহোতাসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (২২ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী সিনেট অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
হাছান মাহমুদ বলেন, “যে ফ্ল্যাটে এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কলকাতা পুলিশ সেখানে ঢুকেছিল, কিন্তু সেখানে লাশ পাওয়া যায়নি। তবে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ডিবি তাদের আটক করেছে। কলকাতা পুলিশও দুইজনকে আটক করেছে।”
কীভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিস্তারিত জানানো হবে। আমরা কূটনৈতিক মিশনের মাধ্যমে খোঁজ রাখছি। সেই সঙ্গে মিশন কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।”
এর আগে, রোববার (১২ মে) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওই দিন সন্ধ্যায় কলকাতার ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকার বরাহনগর থানার মন্ডলপাড়া লেনের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে পৌঁছান। পরদিন দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ওই বাড়ি থেকে হেঁটে বিধানপার্ক কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে তাকে গাড়িতে উঠতে দেখেন গোপাল বিশ্বাসের পরিচিত শুভজিৎ মান্না। ওই রাতেই গোপাল বিশ্বাসের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মেসেজ করেন এমপি আনার। মেসেজে তিনি লিখেছেন “রাতে ফিরছেন না, দিল্লি যাচ্ছেন। এ সময় যাতে তাকে আর ফোন না করা হয়। দিল্লি পৌঁছে তিনি নিজেই ফোন করবেন।”
তিন দিন পর বুধবার (১৫ মে) সকাল সোয়া ১১টায় গোপাল বিশ্বাসকে শেষ মেসেজে করেন এমপি আনার। আনার জানান, তিনি দিল্লি পৌঁছে গেছেন। তার সঙ্গে ভিআইপিরা আছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৮ মে) ভারতের বরাহনগর থানায় লিখিত মিসিং ডায়েরিতে এসব তথ্য উল্লেখ করেন এমপি আনারের বন্ধু গোপাল বিশ্বাস।