অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ০৫:৪৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় প্রকাশ্যে মোটরসাইকেল আরোহী এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ব্যক্তির নাম সুব্রত চন্দ্র দাশ (৪২)।
সোমবার, ১৩ অক্টোবর বেলা পৌনে দুইটার দিকে উপজেলার চর জবলী গ্রামের পালোয়ান বাড়ির সামনে আট কপালিয়া-পরিষ্কার বাজার সড়কে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি।
পুলিশ জানায়, নিহত সুব্রত চন্দ্র দাশ উপজেলার চর আমানউল্যাহ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর বজলুল করিম গ্রামের চিরু রঞ্জন দাশের ছেলে। খবর পেয়ে চর জব্বর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। লাশটির ময়নাতদন্তের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত সুব্রত চন্দ্র দাশের স্ত্রী রিকতা রানী দাশ চর জব্বর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চাকরি করেন। সুব্রত প্রতিদিন স্ত্রীকে গ্রামের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে সকালে কর্মস্থলে পৌঁছে দিতেন, আবার দুপুরে গিয়ে নিয়ে আসতেন। আজ বেলা পৌনে দুইটার দিকে সুব্রত তার স্ত্রীকে কর্মস্থল থেকে আনার জন্য মোটরসাইকেলযোগে পরিষ্কার বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, সুব্রতর মোটরসাইকেল আট কপালিয়া-পরিষ্কার বাজার সড়কের পালোয়ান বাড়ির সামনে পৌঁছালে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে অজ্ঞাতনামা একদল দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার মাথায় এলোপাতাড়ি কোপায় এবং গলা কেটে তাকে হত্যা করে সড়কের ওপর লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি সড়কের ওপর অক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকে। পরে আশপাশের মানুষজন থানায় খবর দেন।
নিহত সুব্রতর কাকা লিটন চন্দ্র দাশ বলেন, তার ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে সুব্রত একসময় ব্যবসা করতেন। স্ত্রীর চাকরির কারণে কয়েক বছর আগে ব্যবসা ছেড়ে দেন। আজ দুপুরে মোটরসাইকেলে কর্মস্থল থেকে স্ত্রীকে আনতে যাওয়ার পথে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। কারা কী কারণে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটাল, তা তারা বুঝে উঠতে পারছেন না। আশপাশের লোকজন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সড়ক দিয়ে যেতে দেখেছেন। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে যে ওই অটোরিকশায় দুর্বৃত্তরা এসে তার ওপর হামলা করেছে। লিটন চন্দ্র দাশ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
জানতে চাইলে হত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেন সুবর্ণচরের চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তি তার স্ত্রীকে কর্মস্থল থেকে আনতে যাচ্ছিলেন। তার মোটরসাইকেলটিও সড়কে পড়ে আছে। কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তারা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছেন। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।