এপ্রিল ১৮, ২০২৪, ১১:১৪ এএম
অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের নারীরা, দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্ব দরবারে জয়জয়কার বাংলাদেশী নারীদের সাফল্যগাঁথা।
স্বনামধন্য টাইম ম্যাগাজিন এর প্রভাশালী ১০০ জন ব্যাক্তির তালিকায় উদ্ভাবক শ্রেণিতে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের স্থপতি মেরিনা তাবাশ্যুম।
অন্যদিকে কান চলচ্চিত্র উৎসবে দ্বিতীয়বারের মতো বিচারক হিসাবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র সমালোচক ও চিত্রনাট্যকার সাদিয়া খালিদ ঋতি।
বিশ্বের দরবারে এমন মর্যাদাপূর্ণ প্রাপ্তিতে আরও বেড়ে গেলো বাংলাদেশের সম্মান।
বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাশ্যুম সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা টাইম ম্যাগাজিওন লিখেছে, “মেরিনা তাবাশ্যুম সাধারণ কেউ নন। তিনি স্থাপত্য চর্চায় এমন একটি রীতি উদ্ভাবন করেছেন, যার মধ্যে স্থানীয় সংস্কৃতি ও মুল্যবোধের সঙ্গে পরিবেশ বিপর্যয় অগ্রাধিকার পেয়েছে।"
টাইম আরও লিখেছে, “জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশে মেরিনা তাবাশ্যুম এমন ধরনের বাড়ি উদ্ভাবন করেছেন, যা স্বল্প নির্মাণ ব্যায়ের পাশাপাশি সহজেই স্থানান্তরযোগ্য।"
মেরিনা তাবাশ্যুম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ ও ভূগর্ভস্থ স্বাধীনতা জাদুঘরের একজন নকশাকার। এই নকশার জন্য তিনি ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে স্থাপত্য নকশা বিভাগে প্রথম স্থান অর্জনের পুরস্কার লাভ করেন।
ঢাকার দক্ষিনখানে তার নিজের দাদীর দেওয়া জমির উপর নির্মিত আবদুর রউফ মসজিদের স্থপতি ছিলেন তিনি। প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের প্রাচুর্যতা ও জলবায়ু পরিবর্তন উপযোগী স্থাপনাটির জন্য ২০১৬ সালে আগা খান পুরস্কার, এবং ২০১৮ সালে জামিল পুরস্কার লাভ করেন।
২০২১ সালে তার তৈরি মানবিক ঘরের জন্য তিনি যুক্তরাজ্যের সম্মানজনক সন পুরস্কার লাভ করেন।
২০২০ সালে ব্রিটিশ সাময়িকী প্রসপেক্ট বিশ্বের শীর্ষ ৫০ জন চিন্তাবিদের মধ্যে তাকে তৃতীয় স্থান দেয়।
অন্যদিকে বাংলদেশী চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্রবোদ্ধা সাদিয়া খালিদ ঋতি এবছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ফিল্ম ক্রিটিকস এর বিচারক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ বছর কান উৎসব শুরু হবে আগামী ১৪ মে, এবং চলবে ২৫ মে পর্যন্ত।
এর আগেও ২০১৯ সালে কান উৎসবে বিচারকের দায়িত্ব পালন সাদিয়া খালিদ। তাছাড়া তিনি ইতালি, ভারত, ইংল্যান্ড, নেপাল, ফ্রান্স, রাশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০২২ সালে তিনি গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডসে বাংলদেশ থেকে চলচ্চিত্র সমালোচক হিসাবে ভোটাধিকার পান।
নূরুল আলম আতিকের আষাঢ়ে গল্পের চিত্রনাট্যকার হিসাবে কাজ করেছেন তিনি।
কানে আমন্ত্রণ পেয়ে সাদিয়া খালিদ বলেন, “কানের মতো চলচ্চিত্র উৎসবে দ্বিতীয়বারের মতো আমন্ত্রণ পাওয়া অবিশ্বাস্য সম্মানের।“ সেইসঙ্গে জুরিবোর্ডে বাংলাদেশের উপস্থিতি “চলচ্চিত্রকে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে বুঝতে সাহায্য করবে।“