জানুয়ারি ১৯, ২০২৫, ০৫:১৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
মেসির দেশ আর্জেন্টিনার সঙ্গে বাংলাদেশের আবেগময় ফুটবল সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার, ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশে নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো সেজা ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই আহ্বান জানান। খবর ইউএনবি।
আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের বিপুল সমর্থনের কথা উল্লেখ ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আবেগপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা এর ওপর ভিত্তি করে সামনে এগোতে পারি। ক্ষেত্র প্রস্তুত রয়েছে। আমরা আবেগপূর্ণ সম্পর্ককে অন্যান্য ক্ষেত্রেও এগিয়ে নিতে পারি।’
এক্ষেত্রে আর্জেন্টিনার ব্যবসায়ীদের একক বা যৌথ মালিকানায় তুলাভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগের সুযোগ খোঁজার পাশাপাশি জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
রাষ্ট্রদূত সেজা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র অনাবিষ্কৃত রয়েছে, যা দুই দেশের জন্য বিশাল সম্ভাবনাময় হতে পারে। তিনি আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে বাংলাদেশের দূতাবাস খোলার বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যকার সুসম্পর্ককে আমরা দুই দেশের উপকারের জন্য ব্যবহার করতে পারি।’
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, বর্তমানে আর্জেন্টিনার প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য তাদের অনুকূলে রয়েছে এবং বাংলাদেশ থেকে আমদানি বাড়িয়ে তারা এই সম্পর্ককে ভারসাম্যপূর্ণ করতে চান।
আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন, গম, ভুট্টা ও কাঁচা তুলাসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। এর বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ২২ লাখ ডলারের পোশাক আমদানি করে।
তুলা, যৌথ বিনিয়োগ, ওষুধ, বস্ত্র, ফুটবল সহযোগিতা (নারী ফুটবলসহ), ক্ষুদ্রঋণ, এলএনজি, ধানের রোগ সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে দুই দেশের ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ওপর জোর দেন মার্সেলো সেজা।
আর্জেন্টিনায় ক্ষুদ্রঋণ চালুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট গুম প্রতিরোধে আর্জেন্টিনার সক্রিয়ভাবে গৃহীত গুম থেকে সব মানুষের সুরক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনভেনশনে (আইসিপিপিইডি) সইয়ের মাধ্যমে জোরপূর্বক গুম প্রতিরোধে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।