সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ০৩:০২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারা দেশে ৭ শতাধিক পূজামণ্ডপকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট। এসব মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের নেতারা এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জোটের সদস্য প্রদীপ কান্তি দে বলেন, এরই মধ্যে দেশের পাঁচটি জেলা থেকে প্রতিমা ভাঙচুরের খবর এসেছে। ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত মণ্ডপগুলোর মধ্যে সাতক্ষীরায় সর্বোচ্চ ৫৫টি রয়েছে। এ ছাড়া কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহীর কিছু মণ্ডপও ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রয়েছে। তিনি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপগুলোর তালিকা সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে এবং সব মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের অনুরোধ করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী মোতায়েনের কারণ ব্যাখ্যা করে প্রদীপ কান্তি দে বলেন, ‘যেহেতু সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করছে, তাই পূজার সময় তাদের উপস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে সহায়ক হবে।’
অনুষ্ঠানে জোটের আরেক সদস্য প্রসনজিৎ কুমার হালদার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় আট দফা দাবি সংবলিত একটি লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—সংখ্যালঘু নির্যাতনে জড়িতদের শাস্তি দিতে স্বাধীন তদন্ত কমিশন ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং সংখ্যালঘুবিষয়ক পৃথক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা। এ ছাড়া হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে রূপান্তর, দেবোত্তর সম্পত্তির আইনি সুরক্ষা ও পুনরুদ্ধার এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যাবর্তন আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের দাবিও জানানো হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য প্রার্থনা কক্ষ স্থাপন, সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ডের আধুনিকায়ন এবং দুর্গাপূজায় পাঁচ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবিও জানান তারা।
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে দুর্গাপূজা উপলক্ষে তিন দিনের সরকারি ছুটি, জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ গ্রেপ্তারকৃত অন্যদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় জীবনের সব ক্ষেত্রে হিন্দুদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়।