সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩, ০৪:৫০ পিএম
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিভিন্ন দেশের খুনিরা কানাডায় আশ্রয় নিয়ে আরাম-আয়েশের জীবন যাপন করতে পারে।
ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রত্যপর্ণ বিষয়ে কানাডার অবস্থান নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এক ধরনের সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে কানাডার অবস্থান অপরাধীদের জন্য একটি প্রতিরক্ষামূলক ঢাল হয়ে উঠছে।
খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারত ও কানাডার চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এবার কানাডার প্রত্যর্পণ নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ। বারবার আবেদন জানানোর পরও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি নূর চৌধুরীকে প্রত্যর্পণ করতে কানাডা অস্বীকৃতি জানানোয় এমন অভিযোগ উঠেছে।
কানাডার মৃত্যুদণ্ডবিরোধী অবস্থানের সমালোচনা করে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের বিচার বিভাগ খুবই স্বাধীন এবং সরকার এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’
এ ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তিত হয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সুযোগ আছে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে ফিরে এসে নূর চৌধুরী ও রশিদ চৌধুরী উভয়ই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারেন। রাষ্ট্রপতি চাইলে তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করতে পারেন এবং মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিবর্তন করতে পারেন।’
‘মানবাধিকারের অপব্যবহারের’ মতো বৈশ্বিক উদ্বেগ নিয়েও কথা বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অনেকেই বিভিন্ন সময় মানবাধিকারের অপব্যবহার করে ফায়দা লুটেছে।’
তিনি বলেন, ‘এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে হত্যাকারী, খুনি ও সন্ত্রাসীদের রক্ষা করার জন্য এটিকে অনেক সময়ই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।’
বিদ্যমান বন্দী প্রত্যর্পণ নীতি থেকে কানাডার সরে আসা নিয়ে বাংলাদেশ আশাবাদী কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশাবাদী মানুষ এবং সব সময়ই আশার পিঠে আশা রাখি। আমি বিশ্বাস করি, কানাডা সরকার একদিন এই নীতি (প্রত্যর্পণ) পরিবর্তন করবে। কারণ, কানাডা বিভিন্ন দেশের খুনিদের একটি আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে।’