বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি কতবার চেষ্টা করল, সব আন্দোলন ফেইল করল।সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দলেরও পতন হয়।
‘এক কমিউনিটি ক্লিনিক সহ্য হলো না। পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেন ক্ষমতায় গিয়ে। শেখ হাসিনার স্মৃতি রাখবেন না। যদি কোনো কারণে ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসনের দেখা পান, তখন কি এই পদ্মা সেতু ভাঙবেন?’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে আয়োজিত সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় ১৫০টি সেতু, ১৪টি ওভার পাস, স্বয়ংক্রিয় মোটরযান ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্র, ডিটিসিএ ভবন, বিআরটিসির ময়মনসিংহ বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ময়মনসিংহের কেউট খালি ও রহমতপুর সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন এবং সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ক্ষতিপূরণ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, `একটা দল আজকে দিন-রাত বিষোদগার করে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যাকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কী বডি ল্যাঙ্গুয়েজে সম্মান করে, এরা কি দেখে নাই? এরা কি দেখে না! বহু প্রধানমন্ত্রী তো জি২০তে গেছে।
যে যা-ই বলুক, আমরা কাউকে পছন্দ করি না করি কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তো শেখ হাসিনার সাথে নিজেই সেলফি তোলেন। জি২০তে তোলেন, নিউইয়র্কেও তোলেন। অন্য কারও সাথে তো তোলেন নাই!
এটা অন্য কিছু না, আমাদের সমর্থন করছে, তাতে আমরা আনন্দিত—সে জন্য না। শেখ হাসিনাকে গুরুত্বটা দিয়েছেন।`
তিনি বলেন, `সমর্থনের কথা বলে লাভ নেই। এখন কত ঘরে কত আগুন! এখন বিশ্বের অনেকে ঘরই সামলাতে পারছে না। চারদিকে অশান্তির আগুন, এটা ছেড়ে বাংলাদেশে এসে ফখরুল সাহেবদের উৎসাহ দেবে কে?
`তিনি প্রতিদিনই ভাষণ দিতে গিয়ে এসব মিথ্যাচার করেন যে, পশ্চিমা বিশ্বের উৎসাহ তিনি পাচ্ছেন। এ জন্য ভালো লাগছে। মির্জা আব্বাস বলেন, চাঁদ রাতের মতো মনে হচ্ছে। এ রকমই তাদের মনে হয়,` বলেন কাদের।
তিনি আরও বলেন, `সরকারের পতন হয়, পৃথিবীতে আন্দোলনে। আমাদের এখানে ঊনসত্তরে সরকারের পতন হয়েছে। এরশাদ সাহেবেরও; এখানে পতনই বলবো—৬ ডিসেম্বর। বিরোধী দলের পতন কি হয় না?
বিএনপি কতবার চেষ্টা করল, সব আন্দোলন ফেইল করল। বিরোধী দলেরও তো পতন হয়। আমাদের দেশে বিরোধী দল নেতিবাচক রাজনীতি করে বারেবারে পতনের দিকেই তো যায়। এখনো তারা যে পথে চলছে, সেই পথ ভুল পথ।
আমি গতকালও বলেছি, ফখরুল সাহেব তত্ত্বাবধায়ক সরকার আজিমপুরের গোরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত। ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আর ডাকবেন না, ওটা ঘুমিয়ে আছে—জাগবে না। প্রধানমন্ত্রী কোন দুঃখে পদত্যাগ করবেন! কী কারণে? প্রশ্ন রাখেন কাদের।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আপনি যাদের কথা বলেন, উৎসাহ পাচ্ছেন, তাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা আইআরআই বলেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে ৭০ শতাংশ লোক শেখ হাসিনার পক্ষে।’
কাদের বলেন, এক কমিউনিটি ক্লিনিক সহ্য হলো না। পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেন ক্ষমতায় গিয়ে। শেখ হাসিনার স্মৃতি রাখবেন না।
যদি কোনো কারণে ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসনের দেখা পান, তখন কি এই পদ্মা সেতু ভাঙবেন? মেট্রোরেল ভেঙে ফেলবেন? এলিভেটেড ভেঙে ফেলবেন? রূপপুরে পানি দেবেন? বন্ধ করতে হলে কী করবে।
ইউরেনিয়ামের বিরুদ্ধে বলছে যে, ওইটা বন্ধ করে দেবে। আমি বলেছি, এই ইউরেনিয়ামগুলো ফখরুলের মাথার ওপর ঢালতে হবে। তখন শিক্ষা হবে এদের। এরা আজব, আজগুবি যত কথা আছে সব বলে।