শহিদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে পাবনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের হাতাহাতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪, ১১:৫৪ এএম

শহিদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে পাবনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের হাতাহাতি

সংগৃহীত ছবি

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে শহীদ মিনারে কর্মকর্তাদের এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে ফুল দিতে বাধা দিলে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক পক্ষ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নামের কর্মকর্তাদের একটি সংগঠন ছিল। যা নিয়ে কর্মকর্তাদের দুই গ্রুপ বিভক্ত হয়, সম্প্রতি একটি গ্রুপ পাস্ট (পিইউএসটি) ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নামের আরেকটি সংগঠন তৈরি করেন। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। আজকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে শহীদ মিনারে দুই গ্রুপ মুখোমুখি হন। প্রথমে পাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন শ্রদ্ধা নিবেদন করে পরে ফুলের পুষ্পার্ঘ নিয়ে শহীদ মিনারের সামনে যান নতুন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে তাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে বাধা দেন পাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা ফুলের পুষ্পার্ঘ ছিনিয়ে নেন পাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। এসময় উভয়পক্ষের কর্মকর্তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি হয়। এতে বাধা দিয়ে নতুন সংগঠনের দুই নারী সদস্যকে লাঞ্চিত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক হয়।  

এই ঘটনায় ‘ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন’র সদস্যরা ফুল না দিয়ে শহীদ মিনার চত্বরে এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. হাবিবুল্লাহ, প্রক্টর ড. কামাল হোসেন, সহকারী প্রক্টর ড. মাসুদ রানা, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. নাজমুল হোসেন তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে ডুরা নেতৃবৃন্দ শহীদ মিনারে ফুল দেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশিদ ডন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের একটিই সংগঠন আছে, সেটা হলো পাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। এই নামে আর কোনো সংগঠন নেই। একটি পক্ষ প্রায় একই নামে আরেকটি সংগঠন তৈরি করেছে। তারা যেহেতু আমাদের সংগঠনেরই ভোটার, তাই আমরা তাদের বলেছি একই নাম ব্যবহার না করে অন্য কোনো নামে সংগঠন তৈরি করতে। এসব নিয়েই শুধুমাত্র কথা কাটাকাটি হয়েছে, আর কিছু নয়। হাতাহাতি কিংবা ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়া ও কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ মিথ্যা।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘শহিদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে কর্মকর্তাদের দুই সংগঠনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। একই নামে দুটি সংগঠন হওয়ায় তাদের মধ্যে একটু বাগবিতণ্ডা হয়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে দুই পক্ষই শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের আলোকে আমরা তদন্ত কমিটি করছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’

Link copied!