সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩, ০৯:০৮ পিএম
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষিপণ্য ও দ্রুত পঁচনশীল পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেনে একটি করে ‘লাগেজ ভ্যান’ সংযোজন করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ১২৫ টি পণ্যবাহী ট্রেনে এই কোচ থাকবে। এর মধ্যে ২৬ টি রেফ্রিজারেটর সুবিধা থাকবে। ফলে মাছ মাংস ও অন্যান্য পচনশীল পণ্য ট্রেনে সরবারহ করা যাবে।
রেলওয়ে সূত্রমতে, প্রাথমিকভাবে মোট ১২৫টি পণ্যবাহী কোচ বা লাগেজ ভ্যান (বগি) যুক্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৭৫টি মিটারগেজ লাইনের ট্রেনে ও ৫০টা ব্রডগেজ লাইনের জন্য। ব্রডগেজে ১০টা রেফ্রিজারেটর (শীতাতপ) আর মিটারগেজে ১৬টা রেফ্রিজারেটর থাকবে। ফলে খুলনা বা কক্সবাজার থেকে মাছ ও অন্যান্য পণ্য আনা যাবে।
রবিবার ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে এই সেবার উদ্বোধন করবেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
কর্মকর্তারা জানান, অল্পদিনের মধ্যেই কোল্ড স্টোরেজ লাগেজ ভ্যান দেশে আসার কথা রয়েছে। এর আগে করোনাকালীন সময় ঢাকায় খাদ্য পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পার্সেল ও কৃষি ট্রেন চালু করে রেলওয়ে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, রেলের আয়ের অন্যতম খাত পণ্য পরিবহন। আর এটি করা হয় লাগেজ ভ্যানের মাধ্যমে। বর্তমানে রেলওয়েতে ৪১টি মিটারগেজ ও ১০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যান আছে। যার বেশিরভাগের অর্থনৈতিক আয়ু শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। ফলে পণ্য পরিবহন থেকে যথেষ্ট আয় করতে পারছে না রেলওয়ে।
এর আগে সরকার ২০১৮ সালের ২৬ জুন পণ্য পরিবহন ও যাত্রী সেবার মানোন্নয়নে আধুনিক, নিরাপদ এবং গুণগত মানসম্মত রোলিং বহরে স্টক যুক্ত করার লক্ষ্যে ৩ হাজার ৬০২ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিং স্টক অপারেশন উন্নয়ন প্রকল্পের (রোলিং স্টক সংগ্রহ) অনুমোদন দেয়। এরমধ্যে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ২ হাজার ৮৩৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ঋণ দেবে।
সে অনুযায়ী ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ রেলওয়ে ও চীনের মধ্যে ওই লাগেজ ভ্যান সংগ্রহে দুটি চুক্তি সই হয়। যদিও ২০২২ সালের জুলাই থেকে এসব লাগেজ ভ্যান বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ছিল।
সড়ক পথের চেয়ে রেলে পরিবহন খরচ কম ও ঝামেলামুক্ত হওয়ার কারণে ব্যবসায়ী, প্রান্তিক চাষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। এই সেবা চালুর মাধ্যমে অতীতের মতো আবারও রেলে পণ্য পরিবহনের সেই জৌলুস ফিরে আসবে বলে মনে করছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা।