নারায়ণগঞ্জে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে কাঁচপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বন্দর উপজেলার কুচিয়া মোড় গোদারাঘাট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত লাশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
কুচিয়া মোড় গোদারাঘাট থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুরের বাঘরী বিলে গত রোববার ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা ধারণা করছেন, গতকাল রাতে উদ্ধার হওয়া লাশটি সেদিন গণপিটুনির শিকার ১ ব্যক্তির হতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
কাঁচপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. তমিজ উদ্দীন বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে লাশটি সোনারগাঁয়ের সনমান্দি ইউনিয়নের বালিয়াতলী মাঝেরচর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে ভেসে ওঠে। পরে লাশটি ভেসে এক কিলোমিটার দূরের বন্দর উপজেলার কুচিয়া মোড় গোদারাঘাট এলাকায় চলে আসে। স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টায় ভাসমান লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।’
বিবস্ত্র অবস্থায় লাশটি পাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শরীরের চামড়া উঠে গেছে। জমাট বাধা রক্তের দাগ আছে। প্রাথমিকভাবে দেখে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে হয়নি। আজ বেলা একটা পর্যন্ত লাশের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশটি গণপিটুনিতে নিহত কোনো ব্যক্তির কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসাইন বলেন, ‘নৌ-পুলিশ একটি ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে। কেউ কেউ বলছেন লাশটি ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত এক ব্যক্তির, কিন্তু পুলিশ তা নিশ্চিত হতে পারেনি। লাশের পরিচয় শনাক্তের সব রকম চেষ্টা চলছে।’
উল্লেখ্য, রোববার রাত সাড়ে ১০টা থেকে দিবাগত রাত একটা পর্যন্ত সোনারগাঁয়ের বাঘরী বিলে ডাকাত সন্দেহে কয়েকজনকে গণপিটুনি দেন গ্রামবাসী। এ ঘটনায় ৪ জন নিহত হন। গত মঙ্গলবার এ ঘটনায় অজ্ঞাত গ্রামবাসীকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। আজ পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।