গাজীপুরের শ্রীপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের বহনকারী দুটি বাসে থাকা ৮০ জন বিজিবি সদস্যকে ঘিরে রাখে আন্দোলনকারীরা। এ সময় বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায়। এতে কমপক্ষে ৬ জন আন্দোলনকারী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছে প্রায় শতাধিক।
এ ছাড়া বিজিবির তিনটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
সোমবার (৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকার বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার আসাদের ছেলে সিফাতউল্লাহ (২২), শ্রীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দারোগারচালা গ্রামের শুক্কুর আলমের ছেলে শরীর আহমেদ (২০), ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার তাজুল ইসলামের ছেলে কাওসার (২৮), ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার আব্দুল হাইয়ের ছেলে জুয়েল মৃধাসহ (৩০) অজ্ঞাত নামা আরও দুইজন।
মাওনা চৌরাস্তা আলহেরা মেডিকেল সেন্টারের ব্যবস্থাপক মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, “এ পর্যন্ত হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত অবস্থায় পাঁচজনের মরদেহ এসেছে। তাদের মধ্যে তিনজনের নাম পরিচয় জানা গেছে। একজনের মরদেহ উপজেলা মাওনা এলাকায় তার আত্মীয় আরিফ সরকারের বাড়িতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ ২২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
আলহেরা হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল হোসেন বলেন, “দুপুরের পর থেকে গুলিবিদ্ধ ২২ জনসহ মোট ৫০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।”
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জারিন ফারা বলেন, “বিকেলের দিকে চারজন ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছে।”
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন দিলেও তাদের পাওয়া যায়নি।