আগস্ট ১৬, ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা ঘিরে কক্সবাজারের চকরিয়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় অস্ত্র হাতে যুবলীগের এক নেতার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে ওই যুবলীগ নেতার গুলি করার ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ায় সংঘর্ষে একজন নিহত এবং পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার ঘটনায় ৬টি মামলা হয়েছে। একটি মামলার বাদী নিহত ফোরকানের স্ত্রী নুরুচ্ছফা। অন্য মামলার বাদী পুলিশ সদস্যরা। সংঘর্ষের সময় ইউএনও, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, এসিল্যান্ড এবং ওসির গাড়িতে হামলা করা হয়েছিল। ভিডিও ফুটেজ থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
জামায়াতের দাবি, হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিএনপি-জামায়াতই পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে হামলা করেছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবারের ঘটনায় পুলিশ কোনো গুলি ছোঁড়েনি। আমরা অনেক ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছি। জামায়াত নেতাকর্মীরা সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। পুলিশের ওপর হামলা করেছে।’
কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম দাবি করেন, চকরিয়ার সংঘর্ষে হেলমেট পরে নেতৃত্ব দিয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীর। তিনি সরকার দলীয় সংসদ সদস্য জাফর আলমের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
চকরিয়া থানার ওসি জাবেদ মাহমুদ জানিয়েছেন, পুলিশ কোনোভাবেই গুলিবর্ষণ করেনি। বরং পুলিশের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশের ৬ সদস্য আহত হয়েছেন।