চৌদ্দ বছর বয়সী কিশোরীর বাবা মারা গেছেন। মায়ের বিয়ে হয়ে গেছে অন্যত্র। ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বি-ব্লকের একটি ভবনে সে দাদীর সঙ্গে থাকত। অনেকদিন ধরেই ওই কিশোরী মায়ের কাছে যেতে চাইছিলো কিন্তু দাদী যেতে দেয়নি। আর তাই দাদীর ওপর অভিমান করে বুধবার (১৯ জুন) সকালে আটতলা ভবনের সাততলা থেকে কার্ণিশ বেয়ে নেমে মায়ের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে কার্ণিশে আটকে পড়ে কিশোরী।
এ অবস্থায় একজন প্রত্যক্ষদর্শী বুধবার সকালে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে এক কিশোরীর কার্ণিশে আটকে পড়ার তথ্য জানায়।
কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯ কলটেকার এএসআই লোকমান হোসেন । এএসআই লোকমান তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি বারিধারা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এবং ভাটারা থানায় দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানায়।
সংবাদ পেয়ে বারিধারা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উদ্ধারকারী দল ও ভাটারা থানা পুলিশের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এদিকে সংশিষ্ট ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, থানা পুলিশ ও কলারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছিলেন ৯৯৯ ডিসপাচার ফায়ার ফাইটার মেহেদী হাসান।
অবশেষে আটতলা ভবনের সাততলা ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে জানালার গ্রিল কেটে কার্ণিশ থেকে কিশোরীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। বারিধারা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. রাজু ৯৯৯ কে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন।