ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পর প্রথম ১৪ ঘণ্টায় ১১ লাখ ৯৭ হাজার ৪০ টাকার টোল আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার।
রবিবার রাত ৮টা পর্যন্ত এ টোল আদায় করা হয়। এর আগে সকাল ৬টা থেকে চালু হয়েছে উড়ালসড়ক।
এম এস আকতার জানান, এক্সপ্রেসওয়ে চালুর প্রথম ১৪ ঘণ্টায় মোট গাড়ি চলেছে ১৪ হাজার ৭২৭টি। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বনানী ও মহাখালী গেছে ৮ হাজার ৪২৭টি গাড়ি। কুড়িল থেকে বনানী ও মহাখালী যায় ১ হাজার ৮৬৪টি গাড়ি। আর বনানী থেকে কুড়িল যায় ১ হাজার ৭২৩টি গাড়ি। এ ছাড়া তেজগাঁও থেকে মহাখালী, কুড়িল, বনানী ও বিমানবন্দর গেছে ২ হাজার ৭১৩টি গাড়ি।
এর আগে গতকাল ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রসঙ্গত, এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল (এসইউভি), মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) ও হালকা ট্রাকের (৩ টনের কম) জন্য টোল (ভ্যাটসহ) ধরা হয়েছে ৮০ টাকা। মাঝারি ট্রাকের জন্য (৬ চাকা পর্যন্ত) ৩২০ টাকা। ৬ চাকার বেশি ট্রাকের জন্য ৪০০ টাকা। আর সব ধরনের বাসের (১৬ সিট বা এর বেশি) জন্য টোল ১৬০ টাকা।
চালু হওয়া অংশে ওঠানামার জন্য মোট ১৫টি র্যাম্প আছে। এর মধ্যে এয়ারপোর্টে দুটি, কুড়িল তিনটি, বনানী চারটি, মহাখালী তিনটি, বিজয় সরণি দুটি ও ফার্মগেটে একটি। আজ থেকে ১৩টি র্যাম্প যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।
২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি এ প্রকল্পের প্রথম চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সাথে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা; যার ২৭ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। তবে ভূমি অধিগ্রহণ, নকশা বদল, অর্থ সংস্থানের জটিলতায় চারবার সময় বৃদ্ধির ফলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকায়।
বর্তমানে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ। প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার। র্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।